পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
কাওসার আমিন হাওলাদার আসল নাম হলেও দীর্ঘদিন মাল্টায় থাকার কারণে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন মাল্টা কাওসার নামে। স্বশিক্ষিত এই ব্যক্তি এবার আসন্ন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। আর এতেই নতুন করে ভয়ে শঙ্খিত হয়ে পড়েছেন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অর্থ
আত্মসাতের অভিযোগ করে দায়ের করা মামলার বাদীগণ।
মামলার অভিযোগসমুহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাল্টা কাওসার ইউরোপের দেশে মাল্টায় লোক নেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা নিয়ে বিদেশ না পাঠিয়ে বরং আর্থিক প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্তদের হয়রানি করেছেন।
এমনই একজন দুমকীর শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চরবয়ড়ার আবুল কাশেমের ছেলে কামাল হোসেন। যিনি ২০২৩ সালের ০১ জানুয়ারি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদলতে সি আর মামলা করেন যার নম্বর ১৫/২০২৩। অভিযোগপত্রে কামাল হোসেন উল্লেখ করেন, কাওসার আমিনকে তাকে মাল্টা নেয়ার জন্য ১২ লক্ষ টাকা দাবী করলে নানা বাড়ির ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করে ১০/০২/২০২১ তারিখে ৬ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করেন। টাকা নেয়ার সময় আগামী ছয় মাসের মধ্যে মাল্টা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও করেননি। পরবর্তীতে কাওসার আমিন দেশে আসলে ১২/০১/২০২৩ তারিখে তার বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে বাদীকে টাকা না দিয়ে উল্টো খুন জখমের হুমকি দেয়। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পাননি মর্মে আদালতে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, গরীব মানুষ মামলা নিয়ে আর কী বলব। এখন টাকাতো দূরের কথা আমার পাসপোর্টই ফেরত দেয়না। অথচ বিশ্বাস করে ওর হাতে নগদ টাকা দেই। আমার জোর জনতা নাই। সফিকের (অন্য এক মামলার বাদীর আসামি) এতো ক্ষমতা, ওরে পযর্ন্ত জেল খাটালো। হ্যার যে পরিমান লোকজন, হ্যাগো সামনে কথা বলাইতো কষ্টকর। হে এ্যাহন মাইনসের কাছে বলে আমার নাকি কোনো পাসপোর্টই নাই। হে আমারে চেনেই না। এখন চেয়্যারম্যান হলে আগামীর পরিস্থিতি ভেবে শংঙ্খিত কামাল হোসেন।