মোহাম্মদ জামশেদুল ইসলাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বাশঁখালী উপজেলা পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত সারা বছর নানা ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়। উপজেলার সমতল ভূমি, পাহাড়ি ঢালু জায়গা ও নিম্নাঞ্চল অনন্য উর্বর ভূমির স্বাক্ষর রাখে। বাঁশখালীকে সবুজ শাকসবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ উপজেলা বলা হয়। এদিকে বাঁশখালীর বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে কাঁকরোলসহ নানা জাতের সবজি। বাজারে সবজির চড়া দাম।
বাঁশখালীতে সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে কাঁকরোল। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে চোখে পড়ার মতো কাঁকরোলের চাষ। প্রতিদিন সকাল থেকে কাঁকরোলের মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা । সকাল-সন্ধ্যা স্থানীয় বাজারে কাঁকরোল তুলতে কাজ করছে কৃষকের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা। সময় দিচ্ছে বউ-ঝি, ছেলেরা। হলেরা। বড় বড় সাই সাইজের পলিথিন ব্যাগে ভরছে কাঁকরোল। পাইকাররা কেজি দরে ক্রয় করছে। প্রতিদিন বাঁশখালী থেকে পাইকারি দরে বিক্রেতারা বাঁশখালীর বিভিন্ন বাজার এবং ক্ষেত থেকে সবজি ক্রয় করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। আগাম চাষে এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা ভাল দাম পেয়ে খুশি।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় , এ বছর চলতি মৌসুমে আশানুরূপ কাঁকরোল উৎপাদন হয়েছে। তবে কালবৈশাখী না হলে সবজি আরো বেশি উৎপাদন হবে। চলতি মৌসুমে কাঁকরোল ছাড়াও বিভিন্ন জাতের বেগুন, ঢেঁড়শ, শসা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, বরবটি, কচুর লতি, কাঁচামরিচ, পুঁইশাক, পালংশাক-সহ নানাজাতের সবজি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। অল্প কিছু দিন পরেই বাঁশখালীর উৎপাদিত সবজি বাজারে জায়গা করে নিবে
বাঁশখালীতে আগেভাগেই চাষ হয়েছে কাঁকরোলের। বার্ণিগ্রাম, সাধনপুর, গুনাগরি, চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল করলা মার্কেট এলাকায় বিক্রির জন্য ক্যারেটে কাঁকরোল রাখছেন চাষি -প্রতিনিধি করে নিবে। দামও কমে যাবে। সবজির ক্রয়ক্ষমতাও ক্রেতাদের নাগালে চলে আসবে। এক কৃষক বলেন, কাঁকরোল শুরুতে পাইকারি কেজি প্রতি ২৫০ টাকা করে বিক্রি করেছি। বর্তমানে দাম অনেকটা কমেছে। ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি পাইকারি দামে নিয়ে যাচ্ছে পাইকাররা। স্থানীয় পাইকারসহ বিভিন্ন উপজেলার পাইকাররা আমাদের কাঁকরোল নিয়ে যায়। এবারে ফলনও ভাল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাঁশখালী এসে পাইকারি দামে ক্রয় করে ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছে বাঁশখালীর সবজি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সালেক বলেন, এ বছর বাঁশখালীতে ১২শ হেক্টর জমিতে কাঁকরোল চাষ হয়েছে। পাশাপাশি সকল ধরনের শাক সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। তার মধ্যে এবার কাঁকরোল চাষ করে চাষিরা সফল হয়েছে। কাঁকরোল এ অঞ্চলের অন্যতম একটি মৌসুমি সবজি। জমির উর্বরতা, কৃষি সহায়তা ও কৃষিবিষয়ক পরামর্শ নিয়ে চাষিরা কাঁকরোল চাষে সফল হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।