হুমায়ূন রুবেল
ভ্রাম্মমান প্রতিনিধি কক্সবাজার।
কক্সবাজারের রামু থানাধীন গর্জনিয়ার চাঞ্চল্যকর তালেব হত্যা মামলার অন্যতম মূলহোতা ও এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী গত ১১ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৩.০০ টার সময় শাহজালাল প্রকাশ লালা’কে কক্সবাজার সদরের কলাতলী এলাকা থেকে র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘটনার দিন অর্থ্যাৎ গত ১৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ ভিকটিম আবু তালেব কক্সবাজারের রামু থানাধীন গর্জনিয়ার ৩নং ওয়ার্ডস্থ হরিণপাড়া এলাকায় জনৈক আব্দুল্লাহ এর মুদি দোকানের সামনে পৌঁছালে মামলায় বর্ণিত বিবাদীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গালি-গালাজ করতে থাকে। এতে ভিকটিম প্রতিবাদ করায় তার উপর প্রতিপক্ষ কর্তৃক লোহার রড, লাঠি এবং ধারালো কিরিচ দিয়ে আক্রমণ চালালে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে আবু তালেব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানেই সে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করায় ঘটনার পরপরই হত্যাকারীরা সম্পূর্ণভাবে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ১৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামী করে রামু থানায় একটি মামলা করা হয়,
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর গোয়েন্দা কার্যক্রম ও নজরদারী চলমান থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদরের কলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এবং উক্ত হত্যা মামলার অন্যতম মূলহোতা ও এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী শাহজালাল প্রকাশ লালা (২৬), পিতা-নুরুল হক, সাং-পূর্ব বোমাংখিল, ৭নং ওয়ার্ড, গর্জনিয়া ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।