স্টাফ রিপোর্টার।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিনেই ২ বার আচরণ বিধি লংঘন করে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে মোঃ কাওছার আমিন হালাদার ওরফে মালটা কাওছার। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধের আগেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মহাসড়কে মোটরসাইকেল শোডাউন করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়।
একই দিন ১৩ মে ২০২৪ (কাপ-রিস মার্কার) প্রতীক হাতে পেয়ে, রাত আনুমানিক ৯.৩০ টার সময় দুমকি শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে টেকনিক্যাল কলেজ সংলগ্নে নির্বাচনী প্রচারনা সভার আয়োজন করে। সেখানে প্রায় ৩-৪ শত লোক জরো হয়ে ঘন্টাব্যাপী অপেক্ষার পর মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাল্টা কাওছার নিজে না এসে তার আপন বোনকে পাঠিয়ে সভায় উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে বলেন এখানে সাংবাদিক উপস্থিত রয়েছে ৮ টার পর সভা করলে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয় সেটা তারা ধরে ফেলবে এজন্য নির্বাচনী সভায় কাওছার আমিন উপস্থিত হতে পারবেন না তাছাড়া সে মানষিক ও শারিরীক অসুস্থ জানিয়ে বৈঠক ভেঙে দেন। এসময় উপস্থিত মিডিয়াকর্মীরা তার বোনকে কাওছার আমিন এর অসুস্থার বিষয় জানতে
চাইলে তার সঙ্গে থাকা লোকজনদের ৫ টি মোটরসাইকেলে নিয়ে তরিঘরি করে স্থান ত্যাগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় কাওছার আমিন হাওলাদার ওরফে মালটা কাউসারের লেখাপড়ার যোগ্যতা ক্লাস চতুর্থ শ্রেণী পাস। তিনি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সবাই বলছেন ক্লাস চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন লোক কিভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
এ ঘটনার তথ্য খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী আরো জানা যায়, বিদেশে নেয়ার কথা বলে উর্মি আক্তার নামে এক নারীর কাছ থেকে মোঃ কাওসার আমিন হাওলাদার ওরফে মালটা কাউসার হাতিয়ে নিয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে ওই নারী কাউসার আমিন হাওলাদারকে বারবার ফোন দিয়ে, বিদেশে নেওয়ার কথা বললে তিনি বিদেশে নেয় না। কোন উপায় না পেয়ে ওই নারী গেল বছর ২০২৩ সালে পটুয়াখালী সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ ম আমলি আদালতে ৪ জনকে আসামি করে , ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন আরও ২ টি প্রতারণা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যাহার তথ্য গোপন করে নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। আরো জানা যায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটারদের বিকাশ ও নগদে টাকা দিয়ে ভোট কিনে নিয়েছে এছাড়াও কয়েকজন মেম্বার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার কথা জনমুখে ছড়িয়ে পরেছে। আবার অনেক মহলে আলোচনা চলছে কাওসার আমিন অল্প কয়েক দিনে কোটি কোটি টাকার মালিক তাইতো এখন তাকে নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনা।