1. live@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : news online : news online
  2. info@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : দৈনিক অনলাইন তালাশ পর্ব ২১ :
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
লামায় আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত কালীগঞ্জে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.)’র জশনে জুলুস হাটহাজারীতে সংঘর্ষ আহত ১০৫, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনী মোতায়েন ও ১৪৪ ধারা জারি হাটহাজারীতে সংঘর্ষের জেরে ওসি প্রত্যাহার, দায়িত্বে তদন্ত কর্মকর্তা চন্দনাইশ থানার বিশেষ অভিযানে ২টি বন্দুক দেশীয় অস্ত্র সহ আসামি আটক  কওমী-সুন্নীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হঠাৎ নাটকীয় সমাপ্তি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন জশনে জুলুসে জনস্রোত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন জশনে জুলুসে জনস্রোত পলাশের ডাংঙ্গায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ৩৮০০ পিছ ইয়াবাসহ কালীগঞ্জের শীর্ষ মাদক সম্রাট আরিফুল ইসলাম ও তাহার সহযোগী আরিফ শেখ গ্রেফতার

জেলে বন্দি ছেলের মুখ দেখা হলো না মায়ের,অঝোরে কাদলেন এলাকাবাসী আত্মীয়স্বজন একই মামলায় থাকা জসিম

ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
  • ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান

বৃদ্ধা রোকেয়া বেগমের একমাত্র সম্বল ছেলে মোঃ লিটন জেলেবন্দি। তার স্বামী মোঃ সফি মারা গেছেন প্রায় ৩ বছর আগে। প্রতিবেশীদের ভাষ্য, মায়ের নয়নের মণি ছিল লিটন। মাকে রেখে লিটন কোথাও গিয়ে রাত কাটাতেন না। অথচ পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ মৃত্যুতে তার স্ত্রীর করা মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল ৯৮ দিন। এ কারণে সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের কোণে জল জমে থাকত। হাউমাউ করে কান্না করতেন দুই নাতিকে জড়িয়ে ধরে। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তাঁর। তবে তা অপূর্ণই থাকল। ছেলেকে দেখতে না পারার হতাশায় স্ট্রোক করে রবিবার সকালে মারা গেছেন তাঁর মা। লিটনের বাড়ি চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায়।

লিটনের ছোট ভাই হান্নান বলেন, ইদানিং মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। ছেলে জেলে থাকায় সব সময় চিন্তা করতেন। ছেলের কথা ভেবে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ট্রোকে মায়ের মৃত্যু হয়।

লিটনের ছোট বোন শাহানাজ আক্তার সেতু জানান, এ মামলায় আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। মৃত্যুর আগে এক নজর ছেলের মুখটা দেখার আকুতি ছিল তাঁর মায়ের। কিন্তু তাঁর সে আশা পূরণ হলো না।

উক্ত মামলার সাত নম্বর আসামী জানাযা শেষে কান্না জড়িত কন্ঠে মোহাম্মদ জসিম বলেন, লিটনের মায়ের মতো আমার পরিবারও আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে। আমার অবুঝ শিশু সন্তানরা গভীর রাতে অঝোরে কাঁদছেন। জানিনা আমি ও আমার পরিবারের ভাগ্যে কি আছে।
তিনি আরও বলেন, শহীদুল্লাহর সাথে আমার কখনোই পরিচয় ছিল না, অথচ মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছি। আমি কেন জায়গার পাওয়ার নিলাম, কেন গরিব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি- এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাতে নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় বাসার কাছে রাস্তা থেকে একটি সিআর মামলায় দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হলে পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মৃত শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করলে থানায় মামলা রেকর্ড করার আদেশ দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© www.dainikonlinetalaashporbo21.com