নিজস্ব প্রতিবেদক।
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডের এস আলম বি আলম গলি এলাকায় আল আমিন তাজবীদুল কুরআন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে আসছেন জান্নাতুল ফেরদৌস(১০)নামে এক শিক্ষার্থী। ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক শরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক দু’জন মিলে জান্নাতুল ফেরদৌসকে জরি দিয়ে মারার প্রচেষ্টা করেন। এমন একটি অভিযোগ উঠছে ইমাম বুখারী মাদ্রাসার হুজুর শরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। গত ২৭ মে সোমবার সন্ধ্যায় জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা ফয়েজ আলী এসব তথ্য জানান।
এবিষয়ে ফয়েজ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আল আমিন তাজবীলুল কুরআন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে আসছে,ইমাম বুখারী মাদ্রাসার হুজুর শরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক ঐমাদ্রাসায় চাকরি করতেন সেই পুরানো শ্রুততার জের ধরে আমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে রাস্তা ঘাটে দেখা হলে দুই হুজুর আমার মেয়েকে আজেবাজে কথাবার্তা বলেন,শরিফ হুজুর ও আবু বক্কর সিদ্দিক এই দুই হুজুর মিলে একসময় আল আমিন তাজবীদুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে চলে আসার পর থেকে বিভিন্ন সময়এই দুই হুজুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে ও অভিভাবকদেরকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করেন।এবং রাস্তাঘাটে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লোভলালসা দেখান এই দুই হুজুর, তারা মাদ্রাসার সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের মাদ্রাসায় নেওয়ার জন্য রাস্তায় একলা পেয়ে চিপস কিনে দেন এবং টাকাও দেওয়ার লোভ লালসা দেখান। গত ২৭ তারিখ আমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে একটি আতরের শিশিতে করে জরি দেন খাওয়ার জন্য।
বিষয়টি আল আমিন হুজুরকে অবগত করলে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টা আমাকে বলেন,তোমার যা ইচ্ছা তা করুন আমি এব্যাপারে কোন কিছু জানি না। তিনি আরও বলেন,এপযন্ত ইপিজেড থানায় কয়েকবার এই দুই হুজুর মোস লেখা দেয়ার পরেও এসব অপকর্ম করে আসছে এই দুই হুজুর, আল আমিন হুজুর এব্যাপারে কোন ভূমিকা পালন করেন নাই।আমি কোথাও গিয়ে বিচার পাইনি পরে বাধ্য হয়ে সহযোগিতার জন্য আপনাদের কাছে চলে আসছি,আপনাদের লেখনীয়ের মাধ্যমে দুই হুজুরের কঠিন বিচার চাই।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আল আমিন হুজুরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে,তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন ভাই আমি একটু দূরে আছি হাতের কাজ শেষ করে আপনার সাথে দেখা করব প্রায় তিন ঘণ্টা পর আবারও পুনরায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বলেন,ভাই আমি একটা জরুরী মিটিংয়ে আছি সময় হলে আমি আপনার সাথে দেখা করব,পরেও আবারও যোগাযোগ করলে তিনি তার অভিযোগটি অস্কিকার করে বলেন,এসব ব্যাপারে আমি কোন কিছু জানি না ভাই জানান।
এ বিষয়ে ইমাম বুখারী মাদ্রাসার হুজুর শরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক হুজুরের সাথে বসে সরাসরি কথা বললে,জরির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ঐ মেয়েকে আমরা চিনি না বলে জানান শরিফ হুজুর ও আবু বক্কর সিদ্দিক হুজুর।
এবিষয়ে মাদ্রাসার হুজুর আল আমিন সহ একটি অসিফে বৈঠকের ব্যবস্থা করেন ঐবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,ইপিজেড থানা বিট পুলিশিং এর সভাপতি হাসি মিয়া,জাহাঙ্গীর আলম,জিতু মোঃ বাবু সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বৈঠকে আল আমিন হুজুর বলেছিলেন আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করবেন না।অপরাধ ওরা করেছে,আপনারা ওনাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিন বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে ইপিজেড থানার এসআই কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেন নাই,প্রায় ৫ মিনিট পরে এসআই কালাম ফোন ব্যাক করে বলেন,এদেরকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করা দরকার বলে জানান তিনি।প্রথম পর্ব।