স্টাফ রিপোর্টার।
দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড হাদীরচড় এখন চোর সিন্ডিকেট এর আস্তানা। পুরো চড় নিয়ন্ত্রন করছে মহিষ চোর সিন্ডিকেট দশমিনা উপজেলা কলঙ্কিত এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৭’জুলাই-২৪ ইং তারিখ হাদীর চড় থেকে চুরি হওয়া ১৬ টি মহিষ শনাক্ত করেছে ভোলার চড়কুকড়ি ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধি সাবেক চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন দাবিকৃত মহিষ মালিক। এসময় দশমিনা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তমিজউদ্দিন জোমাদ্দার ওরফে (তমান) কে ভোলার সাবেক চেয়ারম্যান ২৭” জুলাই বিকেল আনুমানিক ৫ টার সময় ঘটনাটি অবহিত করেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান তমান দশমিনা থানা পুলিশের এর সাথে কথা বলে মালিক দাবিকৃত ১৬ টি মহিষসহ মোট ৩৫ টি মহিষ দুজন রাখাল নিয়োগ করে নিরাপদে রাখেন। এর দূদিন পরে গত ২৯’জুলাই পুলিশ রাখালের নিকট হইতে ৩৫ টি মহিষ স্থানীয় একজনের মাধ্যমে জিম্মায় দিয়ে দেন। এনিয়ে প্রকৃত দাবিকৃত মহিষ মালিকরা সু-বিচার না পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন এর কারন মুল চোর হোতার আরেক ভাইয়ের নিকট মহিষগুলো জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এদিকে চোর সিন্ডিকেট এর সাথে ক্ষমতাশালী একটি কুচক্রী মহল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান তমান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।তিনি বলেন দশমিনাকে যারা কলঙ্কিত করছে তাদের আইনের আওতায় এনে চোর সিন্ডিকেট মুক্ত দশমিনা উপজেলা গড়তে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দাবিকৃত মহিষ মালিকরা ও চড়কুকরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিভিতভুষন বাবু বলেন, প্রায় সময় ভোলার চুরি হওয়া মহিষ হাদীর চড় থেকে উদ্ধার হয়। হাদীর চড় চোর সিন্ডিকেট এর আস্তানা। প্রকৃত দাবিকৃত মহিষ মালিক যাতে তাদের হারানো মহিষ ফিরে পায় এবং মুল হোতা সহ চোর সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, দশমিনা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তমিজউদ্দিন জোমাদ্দার তমান চোর সিন্ডিকেট এর বিপক্ষে বলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এই অপপ্রচার এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
দশমিনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আমিন বলেন, দুই পক্ষ মহিষ দাবি করে থানায় অভিযোগ করেন। তাই কাউকে মহিষ দেয়া হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে সঠিক প্রমান সহ মহিষের প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। চোরের ভাইয়ের কাছে মহিষ জিম্মা দেয়া নিয়ে দাবিকৃত মহিষ মালিকরা সঠিক বিচার পাবে না এমন আশংকার অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যার জিম্মায় রাখি না কেন জিম্মাকৃত মহিষ এদিক ওদিক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই আইনের প্রক্রিয়া ছাড়া কাউকে মহিষ দেয়া হবেনা।
এব্যাপারে গলাচিপা -দশমিনার সার্কেল অফিসার মোঃ মোরশেদ তোহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি আমি নিজে হাদীর চড়ে যাবো ভোলা ও দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ থাকবে মহিষের জন্ম লগ্ন থেকে সবকিছু যাচাই বাছাই করে প্রকৃত মালিকদের নিকট আইনগত প্রক্রিয়ার হস্তান্তর করা হবে। চোর সিন্ডিকেটে দশমিনা কলঙ্কিত প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ভাইস চেয়ারম্যান এবিষয়ে তিনি বলেন শতভাগ চেষ্টা থাকবে মুল হোতা সহ চোর সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনার।
সুত্রে জানাগেছে, বিভিন্ন স্থানের চুরি হওয়া মহিষ হাদীরচড় থেকে একাধিক বার উদ্ধার করে চোর সিন্ডিকেট এর মুলহোতা খোকন ও জাহিদ মাদবরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য সহযোগী আনছর সিকদার পলাতক রয়েছে তবে থেমে নেই চোর সিন্ডিকেট এর কার্যক্রম। মুলহোতার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সোহেল ও সাইদুল নামের দুই যুবক বর্তমানে নিয়ন্ত্রন করেন পুরো সিন্ডিকেট।