হুমায়ুন রুবেল
ভ্রাম্মমান প্রতিনিধি কক্সবাজার
কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন উত্তর বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ নোয়াখালীপাড়া এলাকা হতে ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখ অনুমান ১২.৩০ ঘটিকায় সময় র্যাব-১৫ অভিযান পরিচালনা করে ২,০০,০০০ পিস ইয়াবাসহ মোঃ হোসেন নামে একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক আটক।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশে বিবিধ অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ ০৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোড সংলগ্ন নোয়াখালীপাড়া এলাকার বাঘঘোনা ঘাটের পূর্ব পাশে মেরিন ড্রাইভ সড়কের উপর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্যসহ ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে মাদক কারবারীগণ পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ হোসেন নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার অপর দুই সহযোগী কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায়। ধৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে তার ও পলাতক আসামীদ্বয়ের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ও পলাতক আসামীদের হেফাজতে থাকা সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তা হতে সর্বমোট ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয়-মোঃ হোসেন (৩১), পিতা-মৃত মফজ্জল আহমদ, মাতা-সুরুজ্জামান, সাং-রাজারছড়া, ১নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। ধৃত মাদক ব্যবসায়ী জানায়, সে এবং পলাতক আসামীদ্বয় মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। উক্ত মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত চক্রটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন কৌশলী পন্থা অবলম্বন করে তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট টেকনাফে নিয়ে আসে এবং নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখে। পরবর্তীতে চক্রটি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে অত্যন্ত চতুরতার সাথে টেকনাফ ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে থাকে।
উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।