সুব্রত বাবু
সিক্রেট রিপোর্টার
দীর্ঘ ১৫ বছর পর কর্মস্থলে ফিরেছেন রাউজান সরকারি কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাউজান সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী।
তিনি বলেন,
‘ফ্যাসিস্ট সরকার এসব শিক্ষক কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার এসব শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা ছাড়, পদোন্নতি এবং জাতীয়করণের যাবতীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পাশে থাকার আশ্বস্ত করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ হলেন অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শওকত উদ্দিন ইবনে হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জহুরুল আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আবুল মোস্তফা, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক এস.এম. হাবিব উল্লাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শামসুল আনোয়ার, মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ নুরুল আলম, নিম্নমান সহকারী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারী।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেন, ‘শিক্ষা ও রাজনীতি দুটো ভিন্ন পথ হলেও উদ্দেশ্য মহৎ। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোর পথ দেখানো।
আর রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজ ও রাষ্ট্রপরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের রাজনীতিকরণ কাম্য নয়। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সর
কারের আমলে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে রাউজান সরকারি কলেজের অসংখ্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপর অমানুষিক জুলুম ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং তার অনুসারীরা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অনেক শিক্ষক বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারেননি।
গত ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ০৬ আগস্ট থেকে রাউজান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করেন। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী।