নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের বেশিরভাগ পাহাড় বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে পূর্বে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গত পাঁচে আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে গেলেন সেই চিত্র , এখন নতুন করে শুরু হয়েছে বিএনপি’র রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পরিচয়ে পাহাড়কাটা , আর এরই জন্য দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের পাহাড় গুলি । বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন) অনুযায়ী আইন পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধা- নিষেধ ১) ৬খ। পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ।-কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন ও/বা মোচন (cutting and/or razing) করা যাইবে নাঃ এখন বর্তমানে আইন ভঙ্গ করে বায়েজিদ , পাহাড়তলী, আকবর শাহ থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড় স্থানীয় বাসিন্দাদের গোপন সূত্রে জানা যায় রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন আরফিন নগর বাজার ড্রাম গেইট এলাকায় কাটা হচ্ছে ৭৬৮,৭৬৯ বিএস দাগের পাহাড়টি , রাতে কাটা হয় , দিনে গাছের লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় ও তৈরি করা হচ্ছে নতুন ঘরবাড়ি । এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের গোপন সূত্রে জানা যায় , ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের নাম ভাঙ্গিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বিএনপি র ছাত্রদলের সদস্য সচিব আকিবুর রহমান আকিব ও বায়েজিদ থানা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে সরকারি খাস ও মালিকানাধীন পাহাড় রাতের আধারে কাটা হচ্ছে , এতে চট্টগ্রামের বুক থেকে নতুন করে হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড়। এ ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য এই বায়েজিদ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার ,,, যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি। বায়েজিদ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আকিবুর রহমান আকিব সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি অস্বীকার করে , বলেন এটি আমাদের মালিকানাধীন জায়গা পাহাড় কাটার সাথে আমি জড়িত নয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এই সংবাদটি দৈনিক অনলাইন তালাশের মাল্টিমিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সত্যতা পাওয়া পর পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেই ৭৬৮,৭৬৯ বিএস দাগের পাহাড়টি সাইনবোর্ড লাগিয়েছে ।