নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলা ঝিলংজা ইউনিয়ন এর ডেইঙ্গাপাড়া এলাকায় জামে মসজিদ কমিটির অনিয়মকে বাধাঁ দেওয়ায়,ওই এলাকার আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা ও তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি করেছে বলে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। মূলত ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখা দিয়েছে।এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি সরাসরি জড়িত ওই মসজিদের ইমাম মোবাবর।এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি বাঁধা দিলে আলমগীরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত ঈদের পরে জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির দুর্নীতি অনিয়মকে বাধা দেওয়ায় বিভিন্নভাবে হয়রানি ও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আলমগীরের বিরুদ্ধে। তবে তাদের দাবি যে মানববন্ধনটিন করা হয়েছে সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ আলমগীর একজন ব্যবসায়ী সে কিভাবে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে উল্লেখিত করা হয়। তবে এই বিষয়টি হাস্যকর ও ষড়যন্ত্রমূলক। মূলত সরকার পতন হওয়ার পরে এলাকার কিছু কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে লেগে পড়ে আছে।গত সোমবার গভীর রাতে ওই এলাকায় ২ টার দিকে স্থানীয় হানিফ নামে এক বৃদ্ধের মুদির দোকান ভাঙচুর করা হয়।এই দোকন ভাংচুরের সাথে আলমগীও জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এই দোকানের জায়গায়টি আলমগীদের মালিকানাধীন হওয়াতে জায়গায়টি ভোগদখল করার জন্য অত্র এলাকার কিছু অসৎ লোক তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন আলমগীর। গত বুধবার দুপুর ২ঃ০০ টার দিকে ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদের সামনে আলমগীরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে উল্লেখিত করা হয় আলমগীর একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইয়াবা ব্যবসায়ী।তবে এইসব অপরাধের সাথে জড়িত নেই বলেছেন আলমগীর।তার দাবি মানববন্ধনের যেসব কথা উল্লেখিত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় কোন অভিযোগ নেই।সেই সুবাদে ইয়াবা ব্যবসা ও সন্ত্রাসী উল্লেখিত করা হয়েছে। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।ঐদিন গভীর রাতে বৃদ্ধ হানিফের দোকানটি ভাঙচুর লুটপাট চালায় এরা প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন লোক গিয়ে হামলা চালাই।এই হমলায় জড়িতরা হলেন। ১/হেলাল, পিতা: সৈয়দ নুর, সাং ডেইঙ্গাপাড়া। ২/আবছার কামাল প্রকাশ /জুনু পিতা: সৈয়দ নুর। ৩/ নাছির, পিতা: আব্দু রহমান, সাং ঝিলংজা ৯ নং ওয়ার্ড। ৪/জুবায়ের পিতা: সৈয়দ আহাম্মদ। ৫/ আবছার কামাল পিতা: টান্ডা মিয়া,সাং ঝিলংজা ৯ নং ওয়ার্ড। ৬/ নুরুল হাকিম পিতা: মমতাজ সাং চাকমারকুল। ৭/ মিজবাহ পিতা রহীম,সাং ডেইংঙ্গা পাড়া। ৮/ শাহ আলম,সাং: ডেইঙ্গাপাড়া। ৯/জসিম উদ্দিন পিতা: আবু বককর, সাং ডেইঙ্গাপাড়া।১০/ কামাল পিতা: মনির আহাম্মদ,সাং ডেইঙ্গাপাড়া।১১/হেছেন পিতা: সিদ্দিক আহাম্মদ সাং ডেইঙ্গাপাড়া।১২/ আলী আহাম্মদ,পতা: মুজাহির সাং একই।১৩/ মিজান, পিতা: মকবুল আহাম্মদ।১৪/ শাহাব উদ্দিন পিতা: ঐ ১৫/ বাপ্পি পিতা:ফরিদ আহাম্মদ। অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সহ আরো অনেকেই জড়িত। এই বিষয় নিয়ে চাকমারকুল ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির সিকদার জানান, বুধবার এই এলাকায় একটি মানববন্ধন হয়েছে। এই মানববন্ধনে আলমগীরকে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত করা হয়। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আলমগীরের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই সব মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন। এবং আলমগীর যে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে এটি হাস্যকর তবে প্রশাসনের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদঘাটন করুন। এই বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ হানিফ জানান,গত মঙ্গলবার গভীর রাত দুইটার দিকে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এসে তার দোকানটি ভাঙচুর ও লুটপাট চালাই। এই হামলার নেতৃত্ব দেন ওই মসজিদের ইমাম মোবারক। এবং ভাঙচুরের সময় তারা তার দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। মূলত কয়েকজনকে চিনতে পারলেও রাত হওয়াতে আরো অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে চিনতে পারেননি। তবে তার দাবি এই জায়গাটি আলমগীরের পৈতৃক সম্পত্তি। যারা ভাঙচুর করেছে তাদের উদ্দেশ্য এই জায়গাটি ভোগদখলে নেওয়ার জন্য। তবে আমি চাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুষ্ঠু বিচার। এবং আমার দোকানের যেসব ক্ষতি হয়েছে ।আমি সেইসব পাওয়ার জন্য সবার প্রতি সহযোগিতা কামনা করছি। এই বিষয় নিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জানান,মূলত যে ঘটনাটি হয়েছে সে ঘটনারটির সূত্রপাত হল আলমগীর আগে মসজিদ কমিটির বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মকে বাধা দেওয়াই তার বিরুদ্ধে এইসব ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ওই মসজিদের ইমামসহ অনেকেই। তবে তারা সফলতা হতে পারবে না । আমার দাবী এসব ঘটনাটি দুঃখজনক যেহেতু আলমগীর বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার প্রশ্নই উঠে না। এটি সবাইকে বিব্রত করে তুলেছে আমি চাই এটার সুস্থ বিচার হোক। এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত আলমগীর জানান,আমি দীর্ঘ বছর ধরে এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছি। এবং পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বসবাস করে যাচ্ছি। গত ঈদে ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদের কয়েকটি দুর্নীতি ও অনিয়ম আমার চোখে পড়ে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি বাধা প্রদান করি।ওইদিন প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে। গত মঙ্গলবার আমার বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করা হয়। এবং আমি ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছি বলে তারা উল্লেখ করেছে। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করতে চাই আমি যে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছি। এটি যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে আমি দোষী হিসেবে এলাকাবাসী আমার বিচার করবে এবং শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিব। যদি আমি এসব টাকা দাবি করিনি কোন প্রমান না দিতে পারে তখন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের প্রতি আমার বিচারটা সবাইকে করার জন্য অনুরোধ করা হলো।