ওসমান এহতেসাম, চট্টগ্রাম:
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর সারা দেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বিএনপি। নৈরাজ্য মোকাবিলায় সারা দেশে থানা-উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাত-দিন পাহারা দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। কোনো অপকর্মের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা পেলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অন্তত বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করেছে। শোকজ করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সাংগঠনিক জেলা শাখার শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রের কঠোর বার্তা সব স্তরের নেতাকর্মীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। নৈরাজ্য প্রতিহত করতে জনসচেতনতার উদ্দেশে এলাকায় এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে দুষ্কৃতকারীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালনে পিছিয়ে নেই বাকলিয়া থানা ছাত্রদল। ছাত্রদল নেতা ইবনে সিনা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে বাকলিয়াতেও মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপরে চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে টার্গেট করা হয়েছে বিশেষভাবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনতার মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আপোষহীন। নেতার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় আমরা মাঠে আছি, বাকলিয়ায় কেউ চাঁদাবাজি ও লুটপাট করতে আসলে তাকে পুলিশে দিন, প্রয়োজনে আমরা বাকলিয়া থানা ছাত্রদল আপনাদের সহযোগিতা করব।