মোঃ রাকিব হোসেন স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুরঃ
বারইপাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার পিংঙ্গাইল গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের সাথে বন বিভাগের জমিতে ৪ টি নবনির্মিত রঙিন কালার টিন সিট বাড়ি।
গাজীপুরের ভাওয়াল রেঞ্জের বারইপাড়া বিট অফিসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মূল্যবান বনভূমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ ও বিক্রি করা হচ্ছে।
ঢাকা বন বিভাগের মধ্যে অন্যতম দখলপ্রবণ এই বিটের বাণিজ্য নিয়ে ইতিমধ্যে প্রিন্ট ও অনলাইন বহুসচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ নিয়ে কিছুদিন তোলপাড় চললেও শেষে অপরাধগুলো ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে,
ফলে বনভূমি দখলকারীরা আরও উৎসাহ পাচ্ছেন।
বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে দখলও অব্যাহত রয়েছে,সরেজমিনে জানা যায়, পিংঙ্গাইল এলাকায় প্রাইমারী স্কুলের সাথে ২ নং খতিয়ানে সিএস ২৮৬৮ নং আর এস,২৬৬৮/২৫৫০ দাগের মোট ২০ শতাংশ বনভূমি দখল করা হয়েছে।
বারান্দাসহ একসাথে মোট ৩ টি বাড়ির দুই টি করে রুমের রঙিন কালার টিন সিট বাড়ি নির্মাণ করেছেন, এবং ২ নং খতিয়ানে সি এস,১৩০২,আর এস,২৪৭৫ নং দাগের সুনীল চন্দ্র বর্মন কে ২ শতাংশ বনের জমির উপর ১ টি বাড়ি নির্মাণ করার সুযোগ করে দিয়েছে, কিছুদিন আগে বাড়ির কাজ শুরু হয় এখনো রানিং কাজ চলছে।
বিট সুত্রে জানাযায় বন পহরি নজরুল ইসলাম বাড়ির মালিক,,১/ জিতেন,২/ বিষনো,৩/ অজয় কুমার,৪/ সুনীল চন্দ্র বর্মন,, এদেরকে মোটা অংকের বিনিময়ে কাজগুলো করার সুযোগকরে দিয়েছেন।
ঘটনাটি মোঃ খালেকুজ্জামান ফরেস্ট রেঞ্জার ও বিট কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে জানানো হয়,পরে উনারা অনলাইন তালাশ কে জানান চলতি দায়িত্বে থাকা বন পহরি নজরুল ইসলামের বিরোদ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ দেওয়ায় বনভূমি বেহাত হয়ে গেছে, এখন পিওআর মামলা আদালতে বছরের পর বছর ধরে চলবে, কিন্তু বনভূমি উদ্ধার হবে না, তাই উচ্ছেদ অভিযান ও দায়ী বন পহরির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তাছারা কাপাসিয়া রোডে নয়নপুর এলাকার পল্লি বিদ্যুৎ রোডের অপজিটে কচিকাঁচা মসজিদের পশ্চিম পাশে ইসমাইল নামের এক ব্যাক্তিকে বন বিভাগের ১/২ হাফ শতাংশ জমির উপর একটি দোকান করার সুযোগ করে দিয়েছে বন পহরি নজরুল।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, রক্ষকদের সহযোগিতা থাকায় বারইপাড়া বিটের দখল বাণিজ্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে, বন রক্ষার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়া জরুরি,নয়তো অবশিষ্ট বনাঞ্চল পর্যায়ক্রমে অস্তিত্ব হারাবে।