স্টাফ রিপোর্টার।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুরে পারিবারিক বিরোধকে জমি জমার বিরোধ দেখিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের ও স্থনীয় যুবদল কর্মীকে আহত অবস্থায় জেলে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। এছাড়াও দলীয় বিরোধ দেখিয়ে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সুত্রে ভুক্তভোগী হলেন মাহামুদা বেগম ও তার দুই কন্যা, ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন, একই বাড়ির আমার চাচা শশুর ছালাম চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতো রাজি না হওয়ায় রাতে তার বসত ঘরে ডুকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে ধরা পড়ে সোহেল। এঘটনা গত ৫ বছর আগে ঘটে।বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদে বসে মিমাংসা করে দেয়। সেই থেকে বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো কাওছার আহমেদ সোহেল, মহিউদ্দিন ইসলাম রানা, তাসসিন চৌকিদার, উভয় পিতাঃ সালাম চৌকিদার সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এমনকি শারীরিক মানষিক নির্যাতন থেকে রেহাই দেয়নি নাবালক শিশু মাইসা (৮) ও এক কিশোরী কন্যা (১৪) কে। তিনি আরও বলেন আমাকে পিতা পুত্র মিলে বিভিন্ন সময়ে কারন অকারনে মারধর করতো। নির্যাতনের বিষয় নিয়ে একই বংশের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক চৌকিদার এবং জহির চৌকিদার, মোজাম্মেল চৌকিদার, খবির চৌকিদার, নুহ চৌকিদার সহ আরও কয়েক জনকে জানাই। সেই থেকে তাদের সাথে ও ক্ষোভ ও বিরোধদের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি মেয়েকে বিবাহ দেয়ার সময় তারা ছিলো এই নিয়ে বিরোধের জের আরও বেড়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর চৌকিদার কে দিয়ে মারধর করায়। ঘটনার দিন ২২' অক্টোবর দুপুরে সোহেল, রানা, তাসিন ও তাদের পিতা সালাম চৌকিদার আমার বসত ঘরে ঢুকে মারধর করে। ডাকচিৎকার দিলে চাচা শশুর লাল মিয়া চৌকিদার বাঁচাতে আসে তাকেও মারধর করে আমরা দুজনেই আহত হই। পরে কোন মতে তাদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে বিষয়টি ফারুক চৌকিদার, মোজাম্মেল, জহির, নুহ চৌকিদার সহ অন্যান্যদের জানালে তারা বাড়িতে আসে। এসময় তাদের সাথে ও খারাপ আচরন করে হুমকি ধামকি দেয়। কিছুক্ষন পরে আনুমানিক দুপুর সোয়া দুইটার সময় স্থানীয় বাজারে গিয়ে জহিরুল চৌকিদার কে লোহার শাপল দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাসিন এতে জহির চৌকিদার রক্তাক্ত জখম হয়। অন্য দিকে রানা বগি দা নিয়ে দৌড়ে আসে একই সঙ্গে সোহেল ও সালাম চৌকিদার লোহার রড হাতে সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় জনসম্মুখে ফারুক চৌকিদার সহ সকলে বিষয়টি বাঁধা নিষেধ করতে গেলে রামদা, শাপল, লোহার রড দিয়ে তাদের উপরে হামলা চালানো হয়। তখন পা ছিটকে পরে নিজেদের অস্ত্র আঘাতে নিজেরাই আহত হয়৷ স্থানীয়রা আহত জহির চৌকিদার, মাহমুদা বেগম, লাল মিয়াকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিমাংসা করে নেয়া হবে বলে আইনগত ব্যবস্থা না নিতে নিষেধ করেন। কিন্তুু বিবাদীরা মিথ্যা রাজনৈতিক ইস্যু দেখিয়ে এবং জমি জমার বিরোধ দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পুলিশ কোন তদন্ত ছাড়াই আহত অবস্থায় জহির চৌকিদারকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। এই ঘটনা সম্পুর্ন পারিবারিক কোন জমি জমা বা দলীয় নয়। তাছাড়াও ভুক্তভোগী বলেন মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা নির্দোষ আমি সালাম চৌকিদার ও সোহেল চৌকিদারের নির্যাতন অত্যাচার থেকে বাচতে স্থানীয় মেম্বার ও বংশের লোকজন ডেকেছি তাই তারা মিমাংসা করার জন্য আসে সবাই নির্দোষ। তাদের অপরাধ তারা আমাকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে এসেছে কিন্তুু মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী নারী ও তার দুই কন্যার জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সময় উপস্থিত প্রতক্ষ একাধিক সাক্ষীদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, ঘটনার সময় আমরা সবাই উপস্থিত ছিলাম। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের এঘটনা ঘটে। এখানে কোন জমিজমা কিংবা দলীয় বিরোধ নেই। তবে ঘটনাটি অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য একটা কুচক্রী একটা মহল চৌকিদার বংশের মধ্যে বিরোধ ও আওয়ামীলীগ - বিএনপির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে মিথ্যা মামলা ও সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোন দিচ্ছে। সকলেই বলেন একটি সত্যি ঘটনা কিভাবে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় রুপ নিলো এতে এলাকাবাসী হতবাক। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। এছাড়া ভুক্তভোগী মাহমুদাকে সোহেলে যে কুপ্রস্তাব দিয়ে ধরা পড়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি মিমাংসা হয় সেই ঘটনার সত্যতা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে সোহেল, রানা, সালাম চৌকিদার এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে কাউকে উপস্থিত পাওয়া যায়ননি। তাদের ব্যাবহৃত মুঠোফোন (01715-312198) নাম্বারে কল করলে সংযোগ না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোহেল চৌকিদারে আপন ফুফু ও চাচাতো বোন আকলিমা বলেন, তাসিন মোজাম্মেল কে লোহার শাপল দিয়া বাড়ি দিতে গেছে সেই বারিটা জহিরের মাথায় লাগছে উপস্থিত সবাই দেখছে। এরপর মানুষের ভীরে দুর থেকে দেখিনি কিভাবে কার মাথায় কোপ পড়ছে। উভয় আত্নীয় স্বজন পারিবারিক ঘটনা কোন জমি জমা বা দলীয় কোন ঘটনা নয়। এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে ১ নং আসামি জহির আটক। মামলার তদন্ত চলছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।