মোঃ শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম আকবর শাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনি শাহ আমানত আবাসিক এলাকায় পুরান বলির রাস্তার উত্তর পূর্ব পাশে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়। কোলাহলপূর্ণ নগরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব যেন এসব পাহাড়ের উপর । কিন্তু দিনে দিনে বিলীন হচ্ছে চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড় গুলো। প্রভাবশালীদের হাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে পাহাড় । বিশাল পাহাড় কেটে করা হচ্ছে সমতল, বানানো হচ্ছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। পরিবেশ অধিদপ্তরও যেন এসব প্রভাবশালীর কাছে অসহায়। গোপনে পুরো পাহাড় কেটে ফেলার পর জানতে পারে পরিবেশ অধিদপ্তর। ততদিন পাহাড় আর পাহাড় থাকে না পুরোটা সমতল ভূমি হয়ে যায়। আর এ সুযোগে সেখানে তৈরি হয়ে যায় বিশাল ঘরবাড়ি ।
২৮ শে অক্টোবর ২০২৪ইং সোমবার আকবর শাহ থানার শাহ আমানত আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাটা হচ্ছে পাহাড়। ইট কিংবা টিন দিয়ে ঘেরাও করে গোপনে রাতে ও ভোরে কাটা হচ্ছে পাহাড় । প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিন দুপুরে ও কাটেন পাহাড়। স্থানীয়রা দেখলে ও কারো বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না বা প্রতিবাদ ও করেন না । কোথায় পরিবেশ অধিদপ্তর, কোথায় প্রশাসন, অবাধে চলছে পাহাড় কাটা ।
আকবর শাহ থানার অন্তর্গত বিশ্ব কলোনি শাহ আমানত আবাসিকের পুরান বলির রাস্তার উত্তর পূর্ব-পাশে পাহাড় কাটা সম্পর্কে জায়গার প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে জানতে চাইলে ইয়াসিন বলেন, এটা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আমার জায়গায় আমি পাহাড় কেটে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করছি। জায়গার বিএস এবং আরএস সব কিছুই ঠিক আছে। জায়গার মালিক ইয়াসিন আরো বলেন, পাহাড় কাটতে আমার পরিবেশের কোনো নির্দেশ লাগেনা। পারলে পরিবেশ দিয়ে আমাকে একটি মামলা করিয়ে দেন। এতে আমার কোন কিছু যায় আসে না।
পাহাড় পর্বতে ঘেরা চট্টগ্রামকে বলা হয় সৌন্দর্যের রানী । বর্তমানে অবাধে পাহাড় কাটার কারনে ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা । সামান্য বৃষ্টিতে একই কারণে পলি জমে নালা-নর্দমা ভরাট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। এভাবে অবাধে প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটতে থাকলে,একদিন সত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পাহাড়ের সৌন্দর্য।
আকবর শাহ থানার শাহ আমানত আবাসিক এলাকার পাহাড় কাটা বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর বলেন, এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে, আমরা তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।