ডেস্ক রিপোর্ট
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার মামুদ নগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কামাল হোসেন। দৃশ্যত কোনো বৈধ ব্যবসা না থাকলেও নিজ গ্রামে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করছেন আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি। দালালি করে বিদেশে লোক পাঠিয়ে ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বনে গেছেন অন্তত ৫০ কোটি টাকার মালিক। কুখ্যাত এই কামালের ব্যাপারে কাওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুর্নীতির উন্মোচনকে কামালের অপকর্মের কথা বর্ণনা করেন।সাবেক স্বৈরাচার সরকারের টাঙ্গাইল ৬ আসনের সাবেক সাংসদ ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটুর ছত্রছায়ায় এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেননি এই দুর্ধর্ষ কামাল। অবৈধ টাকার প্রভাব খাটিয়ে ২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বনে গেছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যে। সেই নির্বাচনে কাওয়াখোলা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী চঞ্চল এর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার আর্থিক সুবিধা নেয় সূচতুর এই কামাল হোসেন। গুঞ্জন আছে সেই নির্বাচনে সে খরচ করেছিলো অন্তত ১৫ লাখ টাকা। জানা যায় ক্ষমতার দাপটে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে থোরাই কেয়ার করতেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার এই কামাল ২০০৬ সালে শর্শী আক্তার নামে এক কিশোরী কে একাধিকবার ধর্ষণ করে, পরবর্তীতে সেই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পরে। ব্যপারটি জানাজানি হলে এই কামাল গর্ভবতী কিশোরীকে কৌশলে বিষপান করিয়ে হত্যা করে এবং প্রভাব খাটিয়ে পরিকল্পিত সেই হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে এখনও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হত্যাকাণ্ডের স্বীকার সেই কিশোরীর মা জামিরন বেগম।এছাড়াও অবৈধ পন্থায় বিদেশে লোক পাঠিয়ে নিঃশ্ব করেছেন এলাকার সহজ সরল অনেক পরিবারকে। এসবের প্রতিকার চাইতে গেলে ভুক্তোভুগীদের পরিবার কে দেওয়া হতো নানা ধরনের হুমকি। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দুর্নীতির উন্মোচন কে জানান তিনি নতুন এসেছেন তাই সবকিছু তাঁর ঠিকভাবে জানানেই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অহংকারী এই গডফাদারের আরও অপকর্ম তুলে ধরবে দুর্নীতির উন্মোচন।