বিশেষ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বায়েজিদ এলাকার, চা বোর্ড রাস্তার মাথা, বায়েজিদ মাজার গেইট, ক্যান্টনমেন্টের গেইট, ড্রাইভার কলোনি , পাবলিক স্কুল রাস্তার মাথা পর্যন্ত পথচারীদের চলাচলের জন্য যে ফুটপাত রাখা হয়েছে সেই ফুটপাতে চলাচল করতে পারছেন না ভুক্তভোগী পথচারীরা।
এ যেন রীতিমতো দখলদারদের দখল বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, চা বোর্ড রাস্তার মাথা থেকে ক্যান্টনমেন্ট গেইট পর্যন্ত ফুটপাতের উপরে ভ্যান গাড়ির মধ্যে দিয়ে ফুটপাতে হকার্স ব্যবসায়ীদের বসে ফুটপাত দখল করে ও গোপন সূত্র কয়েকজন ফুটপাতে বসা ব্যবসাহীদের কাছ থেকে জানা যায় নিয়মিত দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা চাঁদা আদায় করে হকার্স বাবুলের ছেলে, আর এই সমস্ত চাঁদার ভাগ চলে যাচ্ছে স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিক নেতাকর্মীদের পকেটে।
এ দিয়েই শেষ নয় ক্যান্টনমেন্ট গেইট থেকে ড্রাইভার কলোনি পর্যন্ত ফুটপাতের উপরে ভ্যান গাড়িতে কারে দোকান, ভাঙ্গারি দোকান , রিক্সার গ্যারেজ, চোরাই তেলের দোকান ও বাদ যায়নি দলীয় পার্টি অফিস এভাবেই চলছে রমরমাট দখলের প্রতিযোগিতা , আর এ সমস্ত বেপরোয়া দখলের কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতা না থাকায় আর যদি কঠোরভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছে কয়েকজন পথচারী।
পথচারী মোঃ আলামিন বলেন, আমি নিয়মিত সকাল বিকাল এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করি সকালে যেমন তেমন বিকালে ফুটপাত দিয়ে বিভিন্ন ভাসমান দোকান পাটের কারণে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে একদিন ফুটপাত ছেড়ে নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান গাড়ির সাথে ধাক্কার শিকার হয় আমার গর্ভবতী স্ত্রী ।
পথচারী মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা আসে যায় লেখা লেখি করে , মাঝেমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উচ্ছেদ অভিযান চালায়, অভিযানের ১/২ দিন পর আবারো বসে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
আরেক পথচারী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন , বায়েজিদ এলাকায় হকার্স বাবুলের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে এই সিন্ডিকেট যদি না ভাঙ্গতে পারলে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারবে না বায়েজিদে ও আরো বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বায়েজিদে হকার্স বাবুলের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফুটপাত দখলমুক্ত করার সম্ভব হবে ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বায়েজিদে হকার্স বাবুলের যোগাযোগ করলে বাবুল বলেন, আমি বহুদিন থেকেই জড়িত আওয়ামী লীগ আমলে পুলিশ প্রশাসন সাংবাদিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিলেমিশে চলেছি ও এখনো প্রশাসন সাংবাদিক ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে মিলেমিশেই চলছি আপনাদের নিউজ আমাকে কোন আঘাত করতে পারবে না পারলে নিউজ করে দেখুন এইরকম কথা সাংবাদিক আসে আর যায়।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজির সাথে শুধু হকার্স বাবুল ও যারাই জড়িত থাকে না কেন দ্রুত ব্যবস্থা নিবো বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ