অনলাইন তালাশ ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ।
দীর্ঘদিন ধরে বেদ খেলে থাকা জমি উদ্ধার করতে না পেরে পারিবারিক কবরস্থান বানিয়েছেন কুঁড়েঘর। সে খানে স্ত্রী ছেলের, বউ ও নাতি – নাতনিদের দিনযাপন করছেন। বেদখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারে একাধিক বার গ্রাম্য শালিস ডাকলেও আদালতের রায় পেলেও বসত ভিটা উদ্ধার করতে পারেননি তিনি।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রানী পুকুর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাবিবপুর গ্রামে আদ্বস সোবাহান (৬৫) পৈত্রিক সূত্রে ১৪ শতক বসতভিটার জমি পেয়েছেন । এরমধ্যে প্রায় ১০ শতক জমি বেদখলে রেখেছেন প্রতিবেশী নায়া মিয়া,মিজানুর রহমানসহ আরও ৩ জন। বাধ্য হয়ে আদ্বস সোবহান পারিবারিক কবরস্থান ৩ টি কুঁড়েঘর তৈরি করে জীবন যাপন করছেন। সেখানে তার স্ত্রী ও এক ছেলের স্ত্রী -সন্তানদের নিয়ে বাস করছেন। জায়গায় অভাবে তার আরোও ২ ছেলে ও তাদের স্ত্রী সন্তানরা সে বাড়িতে থাকেন না। দিনমজুর আদ্বাস সোবাহান বলেন , দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন প্রতিবেশী আমার বসতভিটা দখল করে রেখেছে। আমি গ্রামে শালির ডেকেছি, আদালতে মামলা করে রায়ও পেয়েছি। কিন্তু জমি উদ্ধার করতে পারিনি। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগের নেতা। আমি অসহায় দিনমজুর এর সঠিক বিচার চাই । আদ্বস সুবহানে স্ত্রী হানিফা খাতুন বলেন , নিজেদের জমি উদ্ধার করতে গেলে প্রভাবশালীরা হুমকি দেয়, মারপিট কর। কয়েকজন গেরাম প্রভাবশালীরা সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আদ্বস সোবহানের প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। এ এ কারণে একাধিকবার বৈঠক হলেও তারা সেই রায় মেনে নেয়নি। উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিত। ভয়ে গ্রামের লোকজনেরা প্রতিবাদ করায় সাহস পাইয়নি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রতিবেশী জানান, আদ্বস সোবহান অসহায় মানুষ। আর আর বেদখেলকারীরা প্রভাবশালী এ কারণে তিনি জমিটুকু উদ্ধার করতে পারছেন না । আদ্বস সোবহানের বসতভিটা দখলের মধ্যে একজন হলেন জাজানুর রহমান বলেন, আদ্বস সোবহানের জমি বেদখলে রয়েছে, এটি সত্য। তবে পুরোপুরি আমার কাছে নেই। আমার পাশের বাড়ির লোকজনেরা জমিগুলো দখলে রেখেছেন। তারা ছেড়ে দিলে, রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু ফরহাদ পুটু বলেন বসতভিটা বেদখলের বিষয়ে একাধিকবার শালিস হয়েছে কিন্তু কোন সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি পরে তারা আদালতের দ্বারাস্থ হয়েছিলেন
অনলাইন তালাশ ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ।