স্টাফ রিপোর্টারঃ
গত ২ মাসে আগে বিকাশ ব্যাবসায়ী কাশেম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার না করা হলে জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ৎানা ঘোড়াও করার আল্টিমেট দিয়ে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
শনিনার ৩০’নভেম্বর সকাল ১০ টার সময় কলাগাছিয়া বাজারে দলমত নির্বিশেষে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নিহত কাসেম কলাগাছিয়া বাজারে বিকাশ ব্যাবসায়ী ছিলেন।
মানববন্ধনে কলাগাছিয়া বাজারের ব্যাবসায়ীরা, নিহত কাসেমের স্বজনরা সহ দলমত নির্বিশেষে লোক অংশ গ্রহন করেন। তারা বলেন প্রশাসন চাইলে দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে কাসেমকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর থানার মামলা হয়েছে তবুও রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি এটা প্রশাসনের গাফেলতি ও ব্যার্থতা বলে দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত কাসেমের মা রহিমা বেগম, ভাই হাসান মাহমুদ, বোন জাহেদা, স্থানীয় গন্যামান্য সালাম মৃধা, রাজ্জাক প্যাদা, নুরুল ইসলাম মোল্লা,মাসুম বিল্লাহ, শহীদ মোল্লা, যুবদল সভাপতি রফিক বিশ্বাস প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, নিরহ ছেলে কাসেম কে নির্মমভাবে হত্যা করে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সকল দলমত নির্বিশেষে এই ঘটনার বিচার ও দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান। তারা প্রশাসনের নীরবতাকে মেনে নিতে পারছেন না তবুও প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে বলেন, এরকম ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যতে প্রশাসনের উপর আরও আস্থা হারাবে জনতা। তাই প্রশাসনের নিকট জোর অনুরোধ জানিয়ে দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরে দুজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেফতারের জন্য তথ্য প্রযুক্তি সহ সকল ধরনের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেনেছি নিহত কাসেম নীরহ ছিলো। ঘটনার দিন তার সাথে বিকাশের টাকা ছিলো টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমরা প্রসাশনও চাই এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।