পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামার পৌর-বাস টার্মিনালে পার্কিং করে রাখা এ্যাম্বুলেন্সসহ দুইটি গাড়ি আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা যায়, পুড়ে যাওয়া এ্যাম্বুলেন্সটির মালিক মো. আজগর ও নোহা গাড়িটির মালিক ডাঃ নুর মোহাম্মদ। তবে নোহা গাড়িটিও ড্রাইভার আজগর চালাতো।
এ্যাম্বুলেন্স গাড়ির মালিক মো. আজগর বলেন, কক্সবাজার রোগী দিয়ে রাতের ৩ টা ৪০ মিনিটের দিকে এসে লামা পৌর বাস টার্মিনালে গাড়িটি পার্কিং করি,আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫ টায় আগুন লাগে।
এই বিষয়ে ফোনে স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ ফরিদ উদ্দিন থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন গাড়ি পুড়ে যাওয়ার খবরে মালিক অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানতে পেরেছি,তবে গাড়ির ভিতরে কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।
উল্লেখ্য যে গাড়ির ভিতরে সিলিন্ডার অক্ষত থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এটি অগ্নিকাণ্ড নাকি কারো নাশকতা।
লামা ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পৌর বাস টার্মিনালে পাশাপাশি পার্কিং করে রাখা ১টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১টি নোহা গাড়ি আগুন লেগে পুড়ে যায়,দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রেড ক্রিসেন্টের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
পৌর বাস টার্মিনালে টমটম গেরেজ মালিক সালেহ আহমদ সাংবাদিকদের জানান ভোর ৫টার দিকে আমি ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলাম। এ সময় দূর থেকে এ্যাম্বুলেন্স গাড়িটির পাশে আগুন দেখি। আমি ভাবলাম কেউ শীতে আগুন পোহাচ্ছে,নামাজ পড়ে এসে দেখি গাড়ি গুলো দাউ দাউ করে জ্বলছে।
লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন বলেন লামা পৌর বাস টার্মিনাল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা ২টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, পুড়ে যাওয়ার কোনো কারণ জানা যায়নি,লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে,কিভাবে গাড়ি দুইটি আগুনে পুড়েছে তা তদন্ত করা দেখা হচ্ছে।