ডেস্ক রিপোর্ট
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের দারিয়ার দীঘি বিট কর্মকর্তা ইসরায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত রাজারকুল ইউনিয়নের দারিয়ার দীঘিতে প্রতিযোগীতা মুলকভাবে বনভূমি জবরদখল দখল, নির্বিচারে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চলের গাছ। এদিকে রাজারকুল রেঞ্জের দারিয়ার দীঘি বিট কর্মকর্তা ইসরায়েল হোসেন প্রত্যক্ষ পরোক্ষ পৃষ্টপোষকতায় এসব অনিয়ম- অসঙ্গতি চলছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েল হোসেন দারিয়ার দীঘি দীঘি বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।
বিট কর্মকর্তার অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের কারণে সংরক্ষিত ওই এলাকায় অবাধে গাছপালা কাটায় জীববৈচিত্র্যের অভয়াশ্রম হুমকির মুখে পড়ছে, নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।স্থানীয়রা জানান, তার এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাসরত মানুষের জরাজীর্ণ ঘর মেরামত কিংবা নতুন ঘর স্থাপন করতে গেলেই বিট কর্মকর্তাকে দিতে হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে দিতে হয় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর শুরু হয় এ্যাকশান। বিট কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়ি ঘর থেকে উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে নিয়মিত ঘুষ আদায় করে আসছেন। এছাড়াও বন-বিভাগের উটলড বাগান রয়েছে তাও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলাও বারন। তারা আরো জানায়, বনভূমির পাদদেশে খতিয়ানভূক্ত জমিতে বাড়ি ঘর করতে চাইলে নানা অজুহাতে জমির মালিকদের কাছ থেকে বিট কর্মকর্তা ইসরায়েল হোসেন উৎকোচ দাবী করেন বলে একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বিট কর্মকর্তার অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থের একটি অংশ চলে যায় তার উর্ধতন এক কর্মকর্তার পকেটে। তাদের সহযোগিতায় বিট কর্মকর্তা সকল প্রকার অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এব্যাপারে জানতে চাইলে দারিয়ার দীঘি বিট কর্মকর্তা ইসরায়েল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।