রিপোর্ট-তাহমিদ খান
চট্টগ্রামে গত দুই বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অসংখ্য লোক আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চালুর গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ১২ জন নারী-পুরুষ এবং একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে গেলো ২০২৪ সালে মোট ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের বছর ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন ৮২ জন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানিয়েছে, ১৮৬১ সালের ৫ নম্বর আইনের ১২ নম্বর ধারা মোতাবেক রেললাইনের দুপাশে ১০ ফুট করে এলাকার মধ্যে রেলের কর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ কিংবা গবাদিপশুর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই এলাকায় সব সময়ই ১৪৪ ধারা জারি থাকে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চট্টগ্রাম স্টেশনের ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ বলেন, ‘রেললাইন ধরে চলাচল বা বসে থাকা যে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ এমন আইন সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই অনেক লোকজনের। বিশেষ করে অসাবধানতাবশত চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি।’
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অসাবধানতার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ট্রেনে কাটা পড়ে কেউ মারা গেলে নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারে না। বরং ট্রেন চাইলে মামলা করতে পারে। এ কারণে যারা ট্রেনে কাটা পড়ে আহত হন তারা আমাদের অবহিত না করেই চুপিসারে চিকিৎসা করান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণের মধ্যে রয়েছে চলন্ত অবস্থায় ট্রেনে ওঠানামা, ছাদে ভ্রমণ, দুই বগির সংযোগস্থলে বসা, ট্রেনের দরজায় হাতলে ঝুলে যাতায়াত, কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটা, রেললাইনে সেলফি তোলা, অবৈধ রেলক্রসিং ও অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়া।’