মোঃ ওমর ফারুক রিপোর্টারঃ
গাজীপুর জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরির সুবাদে অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে দুজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী একজন নুরইসলাম, আরেকজন খাইরুল।
হুংকার ও গর্জনের দাপটে চলাফেরার কারণে বনখেকো হিসেবে নাম লিখেছেন যারা বনভূমি নিজের রাজ্য মনে করে,কিসের বিনিময়ে প্রায় দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতির সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকা কর্মরত আছেন তারা,
আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই তারা একই ডিভিশনে পোস্টিং হয়ে আছেন,পদে ছোট হলেও তারা বনের সর্বসেরা।
বনভূমি জবর দখল ও বন ধ্বংস কারীদের ঘনিষ্ঠ,তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সরকারি খাতায় নুরইসলাম এফ জি, এবং খাইরুল বাগানমালি পদে গাজীপুরের বাউপাড়া বিটে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
চাকরি বিধি এক ডিভিশনে নিয়ম হলো ৩ বছর অথচ বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ঘুরেফিরে একই জেলার কর্মরত আছে নুরইসলাম প্রায় ৮ বছর এবং খাইরুল প্রায় ১৬ বছর।
নুরইসলাম এফ জি যে সকল বিটে ছিলো ১/ন্যাশনাল পার্ক বিট,২/ভবানীপুর বিট, ৩/ রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম বিট,৪/ আবার ন্যাশনাল পার্ক বিট,৫/ বর্তমান আছে বাউপারা বিটে।
খাইরুল ইসলাম বাগানমালি যে সকল বিটে ছিলেন,১/ ন্যাশনাল পার্ক বিটে, ২/ ভবানীপুর বিটে ৩/ রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম বিটে, ৪/ বারইপাড়া বিটে, ৫/ আবার ন্যাশনাল পার্ক বিটে, ৬/ আবার বারইপাড়া বিটে, ৭/ বর্তমান আছে বাউপারা বিটে।
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান,নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন এক এলাকায় থাকার কারণে সবকিছু তার নখ দর্পণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফায়দা দিয়ে অবৈধভাবে কামিয়ে নিয়েছেন অর্থ।
টাকার বিনিময়ে তারা দু জন যে যে যায়গায় অবৈধ ভাবে কাজ দিয়েছেন তার সচিত্র ফোটেজে প্রমানসহ দেখানো হয়েছে যেমন,
বাংলাবাজার রোডে ৬৪৬ দাগে নজরুল কে বনের জমিতে মাটিদিয়ে বরাট ও দোকানপাট স্থাপনা করার সুযোগ করে দিয়েছেন বাউপারা বিটের নুরইসলাম ও খাইরুল।
ব্রাকের পশ্চিমে তেলের পাম্পের পূর্ব পাশে মৌজা আড়াইশো প্রসাদ সি এস ৫৬ দাগে মোহাম্মদ আলীকে ডিমারগেশন ছাড়া বনের জমি সহকারে বাউন্ডারি করার সুযোগ করে দিয়েছেন বাউপারা বিটের নুরইসলাম ও খাইরুল।
গাজীমার্কেট মিজানের প্লট ও শহীদের দোকানের দক্ষিন পাশে মৌজা আড়াইশো প্রসাদ বগুরার আরিফকে ডিমারগেশন ছাড়া বনের জমিসহ বাড়ি করার সুযোগ করে দিয়েছে বাউপারা বিটের নুরইসলাম ও খাইরুল।
খাসপাড়া রোজিনার চালায় কবিরের সহযোগিতায় ফজুকে ২ নং খতিয়ানে নতুন বাড়ি নির্মাণ করার সুযোগ করে দিয়েছে বাউপারা বিটের নুরইসলাম ও খাইরুল।
পোড়াবাড়ি বাজারে মৌজা উত্তর সালনা সি এস ৭০৪ দাগে এডভোকেট মোঃ হাতেম কে
বিল্ডিং ঘর করার সুযোগ করে দিয়েছে বাউপারা বিটের নুরইসলাম ও খাইরুল।
পোড়াবাড়ি মাজারের পূর্ব পাশে মৌজা উত্তর সালনা জয়নালের আকাশমণি প্লডে ওয়েস্টার্ন কম্পানিকেউ বনের গাছ কেটে রাস্তা করার সুযোগ করে দিয়েছে বাউপারা বিটের নুরইসলাম ও খাইরুল।
এ ভাবেই বিনিষ্ট করচ্ছে সংরক্ষিত বনভূমি ও বন্যপ্রাণী প্রকৃতি এবং ধ্বংস হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাস স্থল।
চাকরির শুরুতে একই সার্কেলে থাকার কারণে এই দুজন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে,ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে এই দুজন কে ডিভিশন চ্যাঞ্জকরে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি,নয়তো আরো বন বিনিষ্ট হয়েযাবে।
সত্যিকার অর্থে বন ধ্বংস করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই নুরইসলাম ও খাইরুল তাহলে বাউপারা বিট অফিসার মোঃ সামসুদ্দিন রুনি কি এসব বিষয়ে কিছুই জানে না নাকি না জানার বাহানা।
এই দুই জনের সাথে আর কে কে জরিত এবং আরো কোন কোন জাগায় হচ্ছে এমন বন বাণিজ্য তা নিয়ে বিস্তারিত আসছে পরবর্তী নিউজে।