জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়া
পাহাড়, সাগর আরের সবুজে ঘেরা অপরূপ চট্টগ্রাম নগরী। নানারূপ সৌন্দর্যে বেষ্টিত এই নগরীর অন্যতম আকর্ষণ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। মূল শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এই সৈকতে ছুটির দিনে অবসাদ কাটাতে পরিবার নিয়ে ছুটে যান নগরবাসী। কিন্তু দিন দিন অবৈধ দোকানপাট আর ভাসমান হকারে দৌরাত্মে এই সৈকত হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। আর এসব বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ একেবারেই নিরব!
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উদ্যোগে পতেঙ্গা সৈকতের আধুনিকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করা হয়। গত ৩/ ৪/ বছরে পাল্টে গেছে সেই উন্নয়নের চিত্র। বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরী আর পর্যটকদের হাঁটার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল পাশে ৩০ ফিট প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। যেখানে এক সঙ্গে হাঁটতে পারবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তবে পর্যটকদের জন্যে নির্মিত সেই ওয়াকওয়ে এখন অবৈধ দোকানিদের দখলে।
অভিযোগ উঠেছে , ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এডবাস টাকা সহ প্রতিদিন প্রতি দোকান থেকে আদায় করা হয় দোকানের আকারভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন সংগঠনের নাম দিয়েও করছে এসব অবৈধ দোকান বাণিজ্য
অনলাইন তালাশ এর অনুসন্ধানে জানা যায়, দলীয়বেদলীয় নেতা-কর্মীর নাম বাঙ্গি তোলা হচ্ছে চাঁদা ও করতেছে দোকান বাণিজ্য
ট্যুরিস্ট পুলিশ পতেঙ্গা জোনের কমিউনিটির সভাপতি
নাসির উদ্দিন এর সাথে অবৈধ দোকানের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘অবৈধ দোকান বাণিজ্যের সাথে আমি জড়িত না। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এর ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে যোগাযোগ করা যায় নাই
সরজমিনে দেখা যায়, সৈকতের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে পর্যটকদের জন্যে নির্মিত ওয়াকওয়ের অধিকাংশই দখলে নিয়েছে এই দোকানগুলো। বাদ যায়নি শিশুদের জন্যে নির্মিত কিডস জোনটিও। আর এতে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের। আর সৈকত হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, একদিকে যেমন প্রভাবশীলরা করছেন দোকান বাণিজ্য অন্যদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশও যেন দাঁড়িয়ে আছে জমিদারের ভূমিকায়। সরকারি ভাবে দেওয়া ট্যুরিস্টদের জন্য মেডিসিন কেন্দ্র এখন ট্যুরিস্ট ক্যান্টিনের নামে দখলে নিয়েছেন ভাড়ায়। সেই সাথে মেডিসিন ক্যান্টিন টাও ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ীদের দখলে সেই বক্সটি এখন পরিনত হয়েছে ক্যান্টিনে ভিতরে স্টাফ আছে ও বিভিন্ন রকমের জুস ও পানির বোতল
চট্টগ্রামের অন্যতম এই পর্যটন স্পটে চাঁদাবাজি এবং অবৈধ দোকানের ভীড়ে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বলেই অভিযোগ পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। পর্যটকরা বলছেন, একটু প্রশান্তির খোঁজে এখানে এসেও একই রকম জঞ্ঝাট। যা কোন মতেই সহ্য করার মতো নয়। তাদের দাবি, দ্রুত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে পুণরায় সৈকতের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।
ট্যুরিস্ট পুলিশ পতেঙ্গা জোনের কমিউনিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করল অনেক জনের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি
নাসির উদ্দিন
সভাপতি
মোঃ ওমর ফারুক
সহ-সভপতি
মোঃ জামাল-১
সাধারণ সম্পাদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম
যুগ্ম-সাধারণ সম্পদক
মোঃ জামাল-২
সহকারি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
মোঃ ইসমাঈল (৩২)
সাংগঠনিক সম্পাদক
অর্থ সম্পাদক
মোঃ বাবুল
দিদারুল আলম
প্রচার সম্পাদক
মোঃ সাব্বির (২৩)
দপ্তর সম্পাদক