ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ।
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি ভারতের একতরফা প্রত্যাহার বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাব।
রবিবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংগঠনের আহ্বায়ক ছাওমুম পাটোয়ারী সুপ্তের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক উমর ফারুক, খাইরুল ইসলাম পলাশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের সদস্য সচিব রহমত আলী, শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, শিহাব মন্ডলসহ অন্যরা।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন সমাবেশে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর ফারুক বলেন, তিস্তা নদীর সাথে উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা ও জীববৈচিত্র গভীরভাবে জড়িত
রয়েছে। ভারত আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানি একতরফা ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়ে ভাটির দেশ হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। শুস্ক মৌসুমে এ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে, বর্ষার অতিপ্লাবনে মানুষের সম্পদ ও জীবন ধ্বংস হচ্ছে।
আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সাথে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না হলে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে দেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আন্তঃসীমান্ত নদীর উজানে স্থাপনা তৈরী করতে হলে ভাটির দেশের সাথে আলোচনা করতে হয়।
এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম। ভারত এই আইন লংঘন করে একতরফা ভাবে তিস্তা নদীর পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এটি ইতিহাসের বর্বরতম অমানবিক ঘটনা।এটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে শত্রæ ভাবাপন্ন আচারণ।বিগত সরকারের নতজানু পরারাষ্ট্র নীতির কারণে তারা একদিন তিস্তা নদীর পানি চায়নি।
এ সরকারের কাছে দাবী জানাই, আন্তর্জাতিক আদালতে এর প্রতিকার চাওয়া হোক। আমরা তিস্তা নদীর ১১৫ কিলোমিটার পরিদর্শন করে দেখেছি কোথাও পানি নেই, কোথাও নৌকাও চলে না। তিস্তা নদীর গভীরতা না থাকায় নদীতে গভীর পানির কোন মাছ নেই। ভারতের কারণে আমাদের ২ কিলোমিটারের নদী ১২ কিলোমিটার হয়েছে।প্রতি বছর বর্ষায় তিস্তায় ক্ষতি হয় ১ লাখ কোটি টাকার উপরে। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে তিস্তা
নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।