ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ
র্যাব-১৩ সিপিএসসি কর্তৃক রংপুরের কোতয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস অটোচালক শাওন হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী গ্রেফতার।
র্যাব-১৩, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কর্তৃক অদ্য ১২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় রংপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নস্থ পালীচড়াহাট জামে মসজিদ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে (রংপুর জেলার কোতয়ালী থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৭/০১/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪) তদন্তে প্রাপ্ত ক্লুলেস হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ ফয়জার রহমান ফয়সাল (৩০), পিতাঃ মোঃ আনিছুল হক, সাং-রামজীবন মধ্যপাড়া, থানা- কোতয়ালী, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বাদী কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহার অনুযায়ী গত ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪:৩০ ঘটিকায় ভিকটিম শাওন মিয়া (১৬)’ প্রতিদিনের ন্যায় তার বাবার ক্রয়কৃত একটি লাল রংয়ের অটো চার্জার মিশুক গাড়ী নিয়ে ভাড়ায় চালানোর জন্য নিজ বাড়ী হতে বাহির হয়ে মিঠাপুকুর থানাধীন শঠিবাড়ী স্ট্যান্ডে যায়। একই তারিখ ভিকটিম শাওন মিয়া (১৬) তার নিজ বাড়ীতে অটো চার্জার মিশুক গাড়ী নিয়ে ফিরতে বিলম্ব করে। পরবর্তাতে ভিকটিমের বাবা ও মা অনেক জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করে পায় না।
তারপর গত ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জানতে পারে যে, রংপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের ধাপেরহাট জানকি দিগর এলাকায় ১৫/১৬ বছরের একটি ছেলের লাশ কোতয়ালী থানা পুলিশ পুকুর হতে উদ্ধার করেছে এবং উদ্ধারকৃত লাশই ভিকটিম শাওন মিয়া ।
যার প্রেক্ষিতে গত ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ আনুমানিক রাত ০০.০৫ ঘটিকায় ভিকটিমের মা মোছাঃ শাপলা বেগম (৩৬) বাদী হয়ে রংপুর জেলায় কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি র্যাব-১৩, সিপিএসসি এর নজরে আসলে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অদ্য ১২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ ফয়জার রহমান ফয়সাল (৩০), পিতাঃ মোঃ আনিছুল হক, সাং-রামজীবন মধ্যপাড়া, থানা- কোতয়ালী, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানা যায় যে, ভিকটিমের ব্যবহৃত অটো চার্জার মিশুক গাড়ী এবং এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন তার নিজ হেফাজতে ছিল । পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা তার আরও একজন সঙ্গীয় সাথীর যোগসাজসে তারা উক্ত আলামত গুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে রংপুর জেলার কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।