ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত ফ্যসিষ্ট সরকার রংপুরের মানুষের প্রতি তিনটি জুলুম করেছে। স্বধীনতার ৫৪ বছরেও মানুষ এর স্বাদ পায়নি কাউয়ারা সব খেয়ে ফেলছে। কুড়িগ্রামের ফেলানী হত্যার বিচার করেনি, ছাত্র জনতার আন্দোলনের আইকন শহীদ আবু সাঈদসহ ছাত্র জনতাকে নির্বিচারে হত্যা এবং রংপুরের মজলুম জননেতা সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রটারী এটিএম আজাহারুল ইসলামকে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মিথ্যা মামলায় বিচারের নামে কারাগারে আটক রেখেছে।গড়িমসি না করে অবিলম্বে এই মজলুম জননেতাকে জনতার মাঝে ফিরিয়ে দিন। নইলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগের প্রত্যেক শাসন আমলে হাজার হাজার মানুষকে পশুর মত হত্যা করা হয়েছে। সেনা বিডিয়ারকে ধ্বংস করা হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভাজন করা হয়েছে। মুসলিমদের উপর জুলুম এবং তাদের সম্পদ লুট করা হয়েছে। জাতির উপর চেপে বসা ফ্যাসিষ্টদের মোকাবেলা এবং প্রতিহত করতে আবু সাঈদের মত হাজারো তাজা প্রাণের রক্ত ঝরিয়েছে। দেশজুরে লাশের মিছিল দেখেছে জাতি। তারা অনেকে শহীদ হয়েছে বা চিরতরে পঙ্গু হয়েছে। তাঁদের নিখুদ ত্যাগ এবং জীবনের বিনিময়ে ফ্যাসিষ্ট খুনী বিতারিত হয়েছে। শত শত তরুন অন্ধ আর পঙ্গু হয়েছে।
আমীরে জামায়াত বলেন, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের শহীদরা যে কারনে জীবন উৎসর্গ করেছে, সেই শোষন আর সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ না গড়া পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী সমাজ গড়ার সংগ্রাম চলবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। জামায়াতে ইসলামী কাউনিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা এটিএম আজম খান, জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হক, বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদল, আর্দশ শিক্ষক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গনি, পীরগাছ উপজেলা আমীর বজলুর রশিদ মুকুল প্রমূখ।