ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় হত্যাকান্ডের শিকার দেলোয়ারা বেগমের (৩০) বিচ্ছিন্ন মাথা ও পাঁচ বছরের কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত রোববার পীরগঞ্জ উপজেলার বড় বদনাপাড়া গ্রাম থেকে মাটি খুঁড়ে পাঁচ বছরের শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আতিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে প্রেফতার করেছে। তার দেয়া তথ্যে শনিবার উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে দেলোয়ারার খন্ডিত মাথা এবং রোববার সকালে পাঁচ বছরের কন্যা শিশুর মরদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুত্র জানিয়েছে, খবর পেয়ে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচ ক্ষেত থেকে মাথাহীন অজ্ঞাত নামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয় হত্যার শিকার দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা। তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দোলোয়ারা বেগমের সঙ্গে পীরগঞ্জের বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ছিল। দুজনে গ্রাম -গঞ্জে গান-বাজনা করে বেড়াতেন।
এ ঘটনায় পুলিশ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শনিবার বিকেলে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে দেলোয়ারা বেগমের খন্ডিত মাথা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। এরপর দেলোয়ারা বেগমের সাবেক স্বামী পুলিশকে জানান যে তার সঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু সায়মাও ছিল। পুলিশ ঘাতক আতিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রোববার সকালে আতিকুলের বাড়ির পেছন থেকে গাছ বাগানে ভেতর পুঁতে রাখা গর্ত থেকে শিশু সাইমার মরদেহ উদ্ধার করে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম সাংবাদিকদের জানান, নিহত দেলোয়ারা বেগমের সাবেক স্বামী পুলিশকে জানান তার সঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু ছিল। এরপর গ্রেফতারকৃত আতিকুল পুলিশকে জানায় দেড় মাস আগে ওই নারীর শিশু সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে গাছ বাগানে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। পুলিশ সেখান থেকে মাটি খুঁড়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আতিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই নারীর কেটে নেওয়া মাথা, একটি ব্যাগ ও বক্স উদ্ধার করে পুলিশ।