নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুলে পিতার পরিত্যক্ত ঘরে আগুন দিয়ে আপন বোন ও বোনের জামাইকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে রামু থানায় অভিযোগ করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী জাহানারা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীকুল এলাকার আলতাফ মিয়া সওদাগরের পুত্র সাবের আহমদ ও বাদী জাহানারা বেগম পরস্পর আপন ভাই বোন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে পুর্ব রাজারকুলের পিতার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিজে আগুন দিয়ে জাহানারা বেগম ও প্রবাসী স্বামী আবুল কালামকে জড়িয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে অপপ্রচার ও পিতার পরিত্যক্ত ঘরে আগুন দিয়েছে বলে রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাবের আহমদ।
পিতা আলতাফ মিয়া সওদাগর ও মাথা নুর জাহান বেগম জানান আমাদের পুত্র ছাবের আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করে আসছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে রামু থানায় অভিযোগকারী জাহানারা বেগম জানান সাবের আহমদের ছেলে সাহেদ সরওয়ার কে প্রবাসী আবুল কালাম গত ২১ সালে
বৈধ ভিসার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে সে সৌদি আরবে ফুফার জামায় আবুল কালামের দোকানে কর্মরত অবস্থায় দোকানে চুরির অভিযোগে সৌদি কপিল তাকে বিদেশের যাবতীয় লেনদেনের হিসাব করে সাহেদ সরওয়ার কে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন।
জাহানারা বেগম আরো জানান আমার প্রবাসী স্বামী আবুল কালাম কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পাবে বলে রামু থানার অভিযোগসহ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং ৪৪৩/২০২৪।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে তদন্তের মাধ্যমে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে খারিজ করে দেন।
তিনি আরও জানান বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচয় বহন করে প্রলোভনে ফেলে কয়েক’শ অসহায় নারীদের বিভিন্ন পন্য সামগ্রি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ২১ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে। ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত শাহিন সরওয়ার বাবু ও তার পিতা ছাবের আহমদকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। পরবর্তীতে জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসেন।
অভিযোগে জাহানারা বেগমের পিতা আলতাফ মিয়া সওদাগর ও তার মাতা নুর জাহান বেগম আরও জানান সাবের আহমদ, তার ছেলে শাহীন সরওয়ার বাবু, শাহেদ আহমদ প্রায় সময়ে রামু ফকিরা বাজারে অবস্থিত প্রবাসী আবুল কালাম এর বাড়ীতে এসে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন যা সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার ইউপি সদস্য স্বপন বড়ুয়া আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রমান পাওয়া যায়নি।
আগুন লাগার বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, রামু থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে দু’পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।