নিজস্ব প্রতিবেদক
টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং ২১৮১ এর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি দেয়ার অভিযোগ উঠছে গোলাম ফারুক ও উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক’র বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদি সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক দল।
এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যম কে বলেন,গোলাম ফারুক অতীতে ফ্যাসিস্ট মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে মিটিং করেন। আলোচনা করেন এবং কমিটি দেন। ৪ আগস্ট নেতৃত্ব দেওয়া ইউসুফ (১) ইউসুফ (২)শ্রমিক লীগ নেতা অন্য আররেক ইউসুপ ইব্রাহিম হোসেন বাবুলের কেয়ারটেকার।
গত ১০ তারিখ ইব্রাহীম হোসেন বাবুলের বাসভবনে গোপনে একটি মিটিংএর আয়োজন করেন।
সংগঠনের মহানগর থানা কমিটি দেওয়ার বৈধতা না থাকলেও নিজের ইচ্ছা মতো কমিটি দিয়ে যাচ্ছেন।বিগত ৫ আগস্ট’র আগে দেওয়া কমিটি ইব্রাহিম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে দেওয়া কমিটি এখনো বহাল রেখেছেন।চট্টগ্রাম-নগরের বিভিন্ন মিছিল মিটিং করে যাচ্ছেন তারা।গত ১০ তারিখে ইব্রাহিম হোসেন বাবুলের গোপন মিটিং করেছেন ঐব্যক্তি।
বিগত আগেও ফ্যাসিবাদ সরকারের চট্টগ্রাম সিটির মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে হাত মিলিয়ে অবৈধভাবে হালকাযান পরিবহনের কমিটি দেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা আসা ফ্যাসিবাদ গোলাম ফারুক।
পুরাতন কমিটি থাকা অবস্থায় আবারও নতুন করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কমিটি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ ১৯ শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তথ্য সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মোঃ রাকিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যম কে বলেন,দীর্ঘদিন ধরে ২০৭৫ এই সংগঠনটির সকল সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতিত হয়েছে। বর্তমানে পুরাতন কমিটি থাকা অবস্থায় গোলাম ফারুক নতুন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবারও কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,
দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা মাঠে কাজ করতে পারি নাই।
এবিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইলের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেন,শৈরাচারি সরকার থাকা অবস্থায় গোলাম ফারুক আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীদের সাথে হাত মিলিয়ে কমিটি করেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামিলীগ সরকার পতনের পর আবারও নতুন করে ফ্যাসিবাদ নেতাদের সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোলাম ফারুক। বিগত ১৪ জানুয়ারি গোলাম ফারুক নতুন কমিটিতে রাখার জন্য সংগঠনের ৩০ (ত্রিশ) জনকে ফরম ফ্লাপ করেন।প্রতি ফরম বাবদ ২০ (বিশ) হাজার করে টাকা নিয়েছে গোলাম ফারুক। তিনি আরও বলেন,গোলাম ফারুকের বিজনেস হচ্ছে নিত্যনতুন কমিটি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে দেয়া বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে চালকদের সাথে কথা বললে চালকরা বলেন,পুরাতন কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করবে এটা কখনো সম্ভব না।এছাড়াও সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা নতুন কমিটিতে কাজ করতে ইচ্ছুক না। পুরাতন কমিটি রয়েছে,এবং পুরাতন কমিটির সাথে কাজ করতে চান সংগঠনের সকল চালক ও কর্মীরা।
তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে গোলাম ফারুক অবৈধ কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিগত সময়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম ও ইব্রাহিম হোসেন বাবুল আওয়ালীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে একাধিক মিটিং করেছেন।
গোলাম ফারুকের কাজেই হচ্ছে যে গ্রুপ টাকা বেশি দিতে পারবে, গোলাম ফারুক তাকেই নতুন করে কমিটি দিবেন বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়।
এবিষয়ে মোঃ ইউছুফের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনিও সংবাদমাধ্যম কে বলেন,গোলাম ফারুক সাদা কাগজে একটি লিখিত কাগজ নিয়ে এসে আমাকে বলেছে এখানে একটি সাক্ষর করুন।আমি সরল মনে সাক্ষর করি,সাক্ষর করার পরে দেখি আগের পুরাতন কমিটি স্থাপিত করা হয়েছে। ইউছুফ আরও বলেন,এপযন্ত আমার অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে।এবং তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা আমার খরচ হয়েছে,পুরাতন কমিটি থাকা অবস্থায় নতুন করে আবারও কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোলাম ফারুক বলে জানান তিনি।
নতুন কমিটি দেয়ার ব্যাপারে গোলাম ফারুকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,আগের কমিটির ব্যাপারে ঐসংগঠনকে দরখাস্ত দেয়া হয়েছে,আপনি আগে দরখাস্ত দেখুন তার পরে আমার সাথে কথা বলতে আসবেন,এর আগে কোন কথা বলবেন না।পরে আবারও গোলাম ফারুক কে ফোন করলে তিনি কদমতলী রেল স্টেশন এশিয়ান হোটেলে দেখা করার কথা বলেন,এশিয়ান হোটেলে গেলে গোলাম ফারুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন,আমি হোটেলের নিচে নামতে পারব না।আপনি হোটেলের উপরে আসুন,আরামে বসে কথা বলব,আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগতেছে বলে জানান তিনি।