1. live@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : news online : news online
  2. info@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : দৈনিক অনলাইন তালাশ পর্ব ২১ :
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জয়পুরহাটে আ”লীগের সাবেক হুইপ, এমপিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দৈনিক অনলাইন তালাশপর্ব২১. এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল স্যারের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ চন্দনাইশ পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদকের বড় ভাইয়ের সহধর্মিণী ও গনতান্ত্রিক ছাত্রদল ৮নং সাধারণ সম্পাদকের মমতাময়ী আম্মার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ  বান্দরবানে মারাইংতং এ বৌদ্ধ জাদীর মূর্তি ভাংচুর লামায় পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, ডাকাতির সরঞ্জাম, নগদ টাকা উদ্ধার ও মাস্টারমাইন্ড করিম গ্রেফতার ঝগড়ার জেরে ঘুমন্ত বড় ভাইকে ছোট ভাই স্ত্রী সহ মিলে খুন  কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ ফারুক উদ্দিন আহমেদের জানাজার নামাজে হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল থানচিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার  কলেজছাত্র সাব্বির হত্যার খুনিদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, থানার সামনে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সহচর প্রমাণ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তেই আছেন এনআরবি ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান কিবরিয়া ও তার স্ত্রী হোসনে আরা 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি দুর্নীতির চিত্র 

মোঃ নাসিরউদ্দিন রাজশাহী জেলা 
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নাসিরউদ্দিন রাজশাহী জেলা

প্রতিনিধি : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের দরজা পেরোতেই শুরু হয় ভোগান্তি আর অনিয়মের পালা। সাধারণ মানুষ যেখানে চিকিৎসা পেতে আসে, সেখানে তারা পড়ে এক জটিল দুষ্টচক্রের মধ্যে। জরুরি বিভাগে প্রবেশের প্রথম ধাপ: টিকেট ও ওয়ার্ডে স্থানান্তর রোগী নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১০ টাকার টিকেট নিতে হয়। ভর্তি হলে ২০ টাকার টিকেট নিতে হয়, যদিও লিখিত মূল্য ১৫ টাকা।

রোগীকে ওয়ার্ডে নেওয়ার জন্য হুইলচেয়ার ব্যবহার করলে ১০০ টাকা, আর যদি ট্রলির প্রয়োজন হয়, তবে ২০০ টাকা দিতে হয়।ওয়ার্ডে প্রবেশের সময় রোগীর সঙ্গে একজনের বেশি থাকলে, অতিরিক্ত প্রতিজনের জন্য ২০ টাকা দিতে হয়।বেডের ব্যবস্থা করতে হলে ৫০ টাকা দিতে হয়, নাহলে রোগীকে মাটিতেই থাকতে হবে।চিকিৎসা শুরুর আগে একগাদা পরীক্ষা আর ব্যায় ডাক্তার এসে রোগী দেখার পরপরই শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধাপ। প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে ৪টি পরীক্ষা, ১ বস্তা স্যালাইন ও কিছু ওষুধ কিনতে হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন ও ওষুধ চলতেই থাকে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আরেকজন ডাক্তার এসে আবার নতুন পরীক্ষা লেখেন।প্রতিদিন নতুন ডাক্তার আসেন এবং নতুন নতুন পরীক্ষা ও ওষুধের লিস্ট দেন।ওয়ার্ড বয় ও দারোয়ানদের অতিরিক্ত বকশিশ রোগীকে পরীক্ষা করাতে নিতে গেলে হুইলচেয়ার ব্যবহার করলে ১০০ টাকা, আর ট্রলিতে নিতে হলে ২০০ টাকা লাগে। রোগীর সঙ্গে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হয়, নাহলে ঢুকতে দেওয়া হয় না।অপারেশন হলে দুর্নীতির নতুন অধ্যায় অপারেশনের জন্য ৬০০০-৭০০০ টাকার ওষুধ কিনতে হয়, যা ফেরতযোগ্য নয়।রোগী মারা গেলে সব টাকা ও মানুষ শেষ, অথচ হাসপাতাল দায় নেবে না।

অপারেশন সফল হলেও ওটি বয়, দারোয়ান এবং অন্যান্যদের খুশি করতে হয়।প্রতিদিন ড্রেসিং করতে ওষুধ কিনতে হয় এবং ওয়ার্ড বয়কে আলাদাভাবে টাকা দিতে হয়।রিলিজ পেতে আরও টাকা খরচ রোগী সুস্থ হয়ে রিলিজ নিতে গেলে নার্স, দারোয়ান, ওয়ার্ড বয় সবাইকে খুশি করতে হয়।সব টাকা শেষ করে রোগী হাসপাতাল থেকে বের হয় লেংটা অবস্থায়, আর বাইরে গিয়ে দেখে, হাসপাতালের সামনে বড় ব্যানারে লেখা— “আমি ও আমরা সবাই।এই অনিয়মের প্রতিকার কোথায়?এই ভয়াবহ অনিয়ম কি কারও চোখে পড়ে না? সাধারণ মানুষের শেষ ভরসা হাসপাতাল, অথচ সেখানে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? আমরা জবাব চাই?

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© www.dainikonlinetalaashporbo21.com