নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
সরকার পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামে দ্রুতই বদল হচ্ছে চাঁদাবাজদের চেহারা। চট্টগ্রামের খূলশী থানা এলাকায় জিইসি মোড়সহ পুরো চট্টগ্রামে পুরোনো চাঁদাবাজদের জায়গায় আসছে নতুন চাঁদাবাজ। সেই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে চাঁদাবাজির ধরনও। এখন কেউ চাঁদা নিচ্ছে ‘আয়নাঘর’ খুলে। ফেসবুক ব্যবহার করেও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নব্য চাঁদাবাজদের থাবা পড়েছে গার্মেন্টস, পরিবহন সেক্টর, ফুটপাথ ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর।
চট্টগ্রামের খূলশী থানাধীন জাকির হোসেন রোড বাই লেইন নাসিরাবাদ গার্লস স্কুল সংলগ্ন চান মিয়ার কলোনির অলি মিয়ার ছেলে দিদার ও শরীফের নেতৃত্বে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে নাসিরাবাদ সিএন্ডবি কলোনি থেকে শুরু করে জিইসি,২নং গেইটসহ খুলশী এলাকার বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের কিশোর গ্যাং লিডার দিদার ও তার ছোট ভাই শরীফ সেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানের মালিক বলেন, আমরা বিগত সরকারের আমলে তাদের দলের নেতাদের সাথে সূ-সম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ৫ ই আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আরো একটি গ্রুপ রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে নতুনভাবে দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই আমাদেরকে মিথ্যা মামলা এমনকি গুমসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
খুলশী থানাধীন জিইসির মোড়, ২ নং গেইট, সানমার মার্কেটের সামনে ফুটপাতের একাধিক দোকান মালিক বলেন, দিদার গ্যাংদের দোকান প্রতি ১৫০ টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা পোষণ করলে, ফুটপাতের গাড়ি নিয়ে যাবে এমনকি শারীরিক ভাবে নির্যাতন করবে বলে আমাদেরকে হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে আমরা নব্য চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের জান মালের নিরাপত্তা চাই।
চট্টগ্রাম খুলশী এলাকায় চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে, ৮ নং শুলকবহার ওয়ার্ডের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচয় দানকারী চাঁদাবাজ দিদারের
(০১৮২৯৭৯৬১১৭)
মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করতে চাইলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।