মোঃ নাসির উদ্দিন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীর পাচারের সময় ভিজিএফের ২ হাজার ৬৩২ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে এই চাল পাচারের চেষ্টা চলছিল।
বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ অভিযান পরিচালনা করে দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত এই চাল উদ্ধার করেন। এ সময় চাল পাচারের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসলাম আলী গা ঢাকা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে গরীব ও দুঃস্থদের জন্য গোগ্রাম ইউনিয়নের জন্য ২৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়, যা ২ হাজার ৩৮০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে বিতরণের কথা ছিল। বুধবার কিছু চাল বিতরণ করা হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সব চাল বিতরণ দেখানো হয়।
তবে বিকেলে স্থানীয়রা দেখতে পান, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ভ্যানে করে চাল পাচার করা হচ্ছে। সন্দেহ হলে তারা ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৬৩১ কেজি চাল জব্দ করেন।
ইউএনও’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ধাতমা গ্রামের একটি সড়ক থেকে ২৯ বস্তা, ধাতমা খাড়ি ব্রিজের কাছ থেকে ১৭ বস্তা, গোগ্রাম হাটপাড়ার মুকতাদিরের বাড়ি থেকে ৮ বস্তা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সীলমোহরকৃত ৮৫টি খালি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় পাচারকালে তেরোপাড়া গ্রামের আসাদুল ও উচ্ছড়াকান্দি গ্রামের মাইনুলকে আটক করা হয়।
গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের একজন কর্মচারী বাদী হয়ে থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম মমিনুল হক জানান, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান কারাগারে থাকার সুযোগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসলাম আলী অনিয়মের আশ্রয় নেন। ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফ চালের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।