ওমর ফারুক ক্রাইম রিপোর্টারঃ
গাজীপুরের ভাওয়ালঘর ইউনিয়নের জয়দেবপুর থানার রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট সেনানিবাসের পশ্চিম পাশে,
ঢাকা টু কাপাসিয়া মহাসড়কের উত্তর পাশে আবাসিক বসতবাড়ীর সামনে ভাসমান ফুটপাতে কাপড়ের দোকান স্থাপন না করার দাবিতে
এলাকাবাসী আবেদন জানান,
ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী এবং এলাকাবাসীর পক্ষহয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের এডভোকেট মোঃ ইকবাল হোসেন জানান আমরা রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস
ক্যান্টঃ বোর্ড মার্কেট এর পশ্চিম পাশে দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ীঘর নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করি।
আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি যে, আমাদের বসত
বাড়ীর সামনে সড়ক ও জনপথের জায়গায় আরপিগেট বাজার কমিটির লোকেরা বিশেষ করে কমিটির সহ-সভাপতি কাশেম এখানে ভাসমান ফুটপাতের কাপড়ের দোকান বসানোর পায়তারা করছে।
এমতাবস্থায় আমাদের বসতবাড়ীর সামনে ভাসমান দোকান বসিয়ে রাস্তা
বন্ধ করলে এলাকাবাসীর চলাচলে,শিশুদের খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। এছাড়াও শব্দ দূষণের ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হবে।
যেহেতু দোকান গুলো অনেক রাত পর্যন্ত তাদের ব্যবসা
চলমান রাখবে সেক্ষেত্রে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে,যার ফলে এলাকাবাসীকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
ঢাকা টু কাপাসিয়া হাইওয়ে সড়কের উত্তর পাশে অনেক
ঘনবসতি,বয়স্ক মহিলা,স্কুল কলেজের ছাত্র ভাসমান দোকানদারদের দ্বারা ইভটিজিং এর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাস্তা বন্ধ করে দোকান বসালে বাসাবাড়ির মালামাল আনা নেওয়া এবং মহিলা ও স্কুল
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাফেরায় ব্যাপক সমস্যা দেখা দিবে।
আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ভাসমান দোকানগুলো আমাদের বসতবাড়ীর সামনে স্থাপন না করে বাজারের খালি
জায়গা রয়েছে সেখানে স্থাপন করলে এলাকাবাসীর কোন প্রকার সমস্যা হবেনা।
যাতে এলাকাবাসীগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারে তার জন্য ভাসমান কাপড়ের দোকানগুলো আবাসিক বাড়ির সামনে না বসিয়ে অন্যত্র স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে,
এলাকাবাসীগণ চিরকৃতজ্ঞ থাকবে,এবং এই মারাত্মক সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকাবাসী এবং এডভোকেট ইকবাল হোসেন দরখাস্ত জমাদেন,
১।জেলা প্রশাসক, গাজীপুর।
২।নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ,জেলা- গাজীপুর।
৩।থানা নির্বাহী অফিসার, গাজীপুর সদর ।
৪।স্টেশন হেডকোয়ার্টার,
রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস, গাজীপুর।
এলাকাবাসী এই সমস্যার সমাধানের আশায় মুখতোলে চেয়ে আছেন এই চারটি ডিপার্টমেন্টের দিকে কখন মিলবে তাদের আশা।