মোঃ নাসির উদ্দিন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
শক্রতার জের ধরে চাষাবাদের জন্য তিন বিঘা জমিতে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন গভীর নলকূপের অপারেটরের স্বামী মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কৃঞ্চপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক সারওয়ার জাহান। চাঁদার টাকা না দেয়ার কারনে সেচ দিচ্ছেনা। একারনে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জমি। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার হাসনাপাড়া চোরখোর মৌজায় অবস্থিত গভীর নলকূপের আওতায় সেচের জমিতে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে রোববার সকালের দিকে ভুক্তভোগী কৃষক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে অপারেটরের স্বামী চাঁদা দাবি করা সারওয়ার জাহান কে বিবাদী করে সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ তানোর জোনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরেও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এমন চাঁদা বাজি অনিয়ম অতিরিক্ত হারসহ নানান বিষয়ে প্রতিনিয়তই দু চারটি করে লিখিত অভিযোগ হলেও রহস্য জনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করছেন অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেও অভিযোগ রয়েছে। কারন তার বাড়ি উপজেলার যোগীশো গ্রামে। মুলত একারনে তিনি নামমাত্র অফিস করে শহরে চলে যান। অথচ অফিসে অভিযোগের খড়গ থাকলেও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কোন সমাধানের ব্যবস্থা করেন না এই কর্মকর্তা। ফলে গভীর নলকূপের আওতায় কৃষকদের নিকট চাঁদাবাজ অপারেটরের অপসারণ করে সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকূপ টি পরিচালনার জোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্ডুমালা পৌর এলাকার হাসনাপাড়া চোরখোর গ্রামের পূর্ব দিকে গভীর নলকূপ রয়েছে। যার জেএল নং ৫৬ ও দাগ নম্বর ৮৭৯। গভীর নলকূপের সামান্য পূর্ব দিকে ভুক্তভোগী কৃষক নাসির উদ্দীনের জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার জমির পরে ও আগের জমিতে ধান রোপন করা আছে। সেখান থেকেই মোবাইল করে বিএনপি নেতা প্রভাষক সারওয়ার জাহানের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, নাসির উদ্দীনের জমি গভীর নলকূপের স্কীম ভুক্ত না। জমি স্কীম ভুক্ত করতে হলে তাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। তাছাড়া কোন শক্তি নেই তার জমিতে পানি দেয়ার। যত বড়ই কর্মকর্তা আসুক টাকা ছাড়া পানি দেয়া যাবে না। অপারেটর কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার স্ত্রী। আপনি তো শহরে থাকেন তাহলে গভীর নলকূপ পরিচালনা করে কে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন কিভাবে চলবে সেটা আমার ব্যাপার বলে প্রচুর দাম্ভিকতা দেখান।