স্টাফ রিপোর্টার।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য ও তার পিতা মিনাজ খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ৫ জন আসামির নাম উল্লেখ সহ আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি মিজান খান ও দেলোয়ার খান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১৮ এপ্রিল সদর উপজেলা মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিম হেতালিয়া গ্রামে বিকেল আনুমানিক ৫ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার সূত্রে আসামিরা হলো, (১).খলিল খান,,(২).জলিল খান, (৩). জহির খান, (৪). মিজান খান, উভয় পিতাঃ দেলোয়ার খান, (৫).দেলোয়ার খান, পিতাঃ মৃতঃ বেল্লাত খান এবং অজ্ঞাত আরোও চার পাঁচ জন।
এজাহার সুত্রে জানাগেছে, আসামিদের সাথে পূর্বে বিরোধ চলে আসতেছিলো। আসামিরা তাদের মরিচ খেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ছেড়ে দিয়ে ফসল নষ্ট করে। উক্ত বিষয়ে রাসেেল খান বিবাদীদের কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন পূর্ব আক্রোশের জের ধরে তর্ক বিতর্ক করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিবাদীরা ধারালো ছুরি, বাংলা দা, শক্ত বাসের লাঠি নিয়ে রাসেলকে এলোপাথারি ভাবে মারধর শুরু করে। রাসেলের ডাক চিৎকারে তার বাবা মেনাজ খান ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে এক পর্যায়ে আসামিদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ছুরি, বাংলা দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও রাসেল ও তার বাবা মেনাজ খানকে গুরুতর জখম করে। হামলায় রাসেলের ডান হাতের কবজিতে কোপ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এবং তার বাবা মেনাজ খানের পেটে ছুরি আঘাত সহ গুরুতর জখমি হয়। চিৎকার শুনে মিনাজ খানের স্ত্রী আলেয়া বেগম ছুটে ্ আসলে তাকে মারধর করে এবং পরনের কাপড় চোপড় টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে পরবর্তীতে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসামিরা স্তান ত্যাগ করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রাসেল ও মেনাজ খানকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন।বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে আহত মেনাজ খান বাদী হয়ে ১৯’ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি আমলে নিয়ে, ধারা- ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬, পেনাল কোড মামলা রুজু করা হয়েছে, মামলা নং-২৯/২৫.
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাদীর এজাহার আমলে নিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় ২ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।