আব্দুর রউফ সোহেল বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুর বিরামপুরে ব্যাংক চেক জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। এ বিষয়ে বাদী মোছাঃ পারুল পারভীন
বিরামপুর থানায় ব্যাংক চেক জালিয়াতি হারানোর বিষয়ে বিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিনে জানা যায়,পারুল পারভীন একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিজের আত্মীয় স্বজনের সকল সুখে দূঃখে সব সময় পাশে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারই স্বামীর বড় ভাই এর ছেলে জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের সহিত বেশ ভলো সম্পর্ক ছিল।
ভালো সম্পর্কের সুবাদে জিয়াউরের স্ত্রী মরিয়ম বেগম কে আর্থিক সহযোগিতা করার অভিপ্রায়ে ২টি এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলনের জন্য পারুল বেগম তার নিজ ব্যাংক চেক এনজিওতে দিয়ে ঋণ উত্তোলন করে দেন। পারিবারিক কলহের যের ধরে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম সুকৌশলে আবারও একটি এনজিও থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য পারুল পারভীনের নিকট আরো একটি চেক চান। সম্পর্ক ভালো থাকার সুবাদে পারুল পারভীন পূনরায় ব্যাংক চেক দিয়ে রাজি হয়ে যায়। একপর্যায়ে উক্ত ব্যাংক চেক নিয়ে বিবাদীর সহিত বিরামপুর পারুল বেগম সকল দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে পুনরায় আরও একটি ব্যাংক চেক দেওয়ার সম্মতি দেন। পক্ষান্তরে কয়েকদিন পূর্বে মরিয়ম বেগম ফোন দিয়ে ব্যাংক চেক নিয়ে এসএসএস (সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস) বিরামপুর শাখা, বিরামপুর দিনাজপুর। শাখা কোড নং-০৯২২-৫৭৫
এমআরএ সনদ নং -০০৬৪৫-০১০০২-০০০২৫ যান। এনজিওর মাঠ কর্মী এনজিওর ম্যানেজার গোলাম রাব্বানী ও মাঠ কর্মী
রাকিবার হাতে তার ব্যাংক চেকটি বুঝিয়ে দেন। এনজিওর লেনদেন শেষ করে বিবাদী মরিয়ম বেগমের সহিত কথা বলে তার বাসায় চলে যান। বৈকাল বেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পারুল পারভীন জানতে পারেন তার ব্যাংক চেকটি ঋণের কাজে ব্যবহার না করে বিবাদী মরিয়ম বেগম এনজিও থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে এনজিওর ম্যানেজার ও মাঠকর্মীর সহিত প্রতারণা করে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। এমন খবর শোনা মাত্র পারুল বেগম এনজিওতে যান ও এনজিও ম্যানেজার ও মাঠকর্মীর নিকট তার প্রদান করা চেকের পাতাটি দাবি করেন। এমন অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজার এবং মাঠকর্মী রাকিবা জানান মরিয়ম বেগম পারুল বেগমকে চেকটি প্রদান করবে অঙ্গীকারপূর্বক সে এনজিও থেকে ব্যাংক চেকের পাতাটি নিয়ে যায়। উক্ত ব্যাংক চেকের পাতা প্রদানের লক্ষ্যে এনজিও ম্যানেজার গোলাম রাব্বানী মরিয়ম বেগমকে ডাকলে সে অস্বীকার করে বলেন যে আমি চেক নিয়ে যা আমার চাচিকে প্রদান করেছি। প্রকৃতপক্ষে জানা যায় মরিয়ম বেগম উক্ত চেকের পাতাটি পারুলকে দেন নাই। এমন অবস্থায় পারুল বেগম বিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন উক্ত বিষয়ে পারুল বেগম বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষাপটে বিরামপুর থানার অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম প্রায় গত ১৫-২০ দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। এ যাবৎ তেমন কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই বলে জানান বাদি পারুল পারভীন। এবিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীগণ উক্ত ব্যাংক চেকের বিষয়ে এনজিও ম্যানেজার ও মাঠকর্মীর নিকট জানতে গেলে তারা বলেন ঘটনা সত্য মরিয়ম বেগম ব্যাংক চেক আমাদের নিকট থেকে প্রতারণা করে নিয়ে যায় এবিষয়ে আমরা ব্যবস্হা গ্রহণ করব।
তিনি আরও জানান বিষয়টি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মীমাংসা করে দেব। এভাবে চলে যায় বেশ কয়েকদিন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হয় নাই। ব্যাংক ম্যানেজার আবারও জানান উক্ত অভিযোগের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য এনজিওতে প্রধানত ব্যাংকের চেকের পাতাটি সকালে জমা করে বৈকালে সুকৌশলে মরিয়ম বেগম ব্যাংক থেকে পাতাটি নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছুদিনের মধ্যে বিবাদী মরিয়ম বেগমের ছোট বোন সাথী আক্তার কে বাদী করে দিনাজপুর আদালতে একটি আর্থিক চেকের মামলা দায়ের করেন। পক্ষান্তরে চেকের বিরুদ্ধে স্হানীয় থানা য় পারুল পারভীন সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে বিবাদী মরিয়ম বেগম সুকৌশলে তার নিজের ছোট বোন সাথী আক্তার কে দিয়ে দিনাজপুর আদালতে পারুল বেগমের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং CR/42/25
২০/০৪/২৫ এ বিষয়ে বিরামপুর থানায় অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই রফিকুল ইসলামের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,এবিষয়ে অভিযোগের বাদীর সহিত কথা বলেন সব জানতে পারবেন আমি খুব ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেয়। এবিষয়ে বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হকের নিকট এমন কথা জানালে সে জানায় এসআই রফিকুল ইসলাম ছুটিতে আছে ওর আজকে গায়ে হলুদ এই জন্য এমন কথা বলেছে।বাদী পারুল পারভিন মুঠো ফোনে বলেন আমি সরল মনে চেক দিয়েছি আত্তীয় হয় উপকার করার জন্য এখন আমার কাছে মনে হয় উভই দোসি এবং চেক নং সম্পর্কে বলেন উক্ত ইনজিওতে দেওয়া চেকের নং SN-303954939।