মোরশেদ আলম চৌধুরী
পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে ১৯৯১ সালে লামা থানাধীন ৩নং ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মালুম্যা গ্রামের আব্দুস শুক্কুর কে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করেন তারই আপন ভাই আব্দুল আলিম ভাতিজা সোনাইয়া, জহির এবং জহিরের ভগ্নিপতি নূর মোহাম্মদ। মামলাটি তদন্ত শেষে লামা থানা পুলিশ আব্দুল আলিম আব্দুল আলীমের ছেলে সোনাইয়া, জহির এবং জহিরের ভগ্নিপতি মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
ওই সময় মামলাটি সংক্রান্তে গ্রেপ্তার হয়ে আসামি আব্দুল আলিম এবং সোনাইয়া জেল হাজতে আটক থাকেন প্রায় দুই বছরের বেশি সময়। আব্দুস শুক্কুরের পরিবার গরিব অসহায় হওয়ায় মামাটির খরচ বহন করতে পারেননি যথাসময়ে এরই মধ্যে আসামি আব্দুল আলিম মারা যান,আসামি জহির, নুর মোহাম্মদ প্রবাসে পাড়ী জমান। আসামি সোনাইয়া বেশ কয়েক বছর মামলার হাজিরা দিয়ে ২০০৮ সালে কৌশলে নিজের নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয় পত্রে নিজের নাম সোনাইয়ার পরিবর্তে জাফর আলম, পিতা আব্দুল আলিম উল্লেখ করেন। এভাবে বেশ কয়েক বছর মামলায় হাজিরা দিলেও ২০১৫ সালের পর তিনি আর বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে এলাকায় বলে যান সোনাইয়ার পরিবর্তে জাফর আলম।
গত ২৬/০৪/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে লামা থানার চৌকস অফিসার সাব ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে মামা থানা পুলিশের একটি দল মালুম্যা গ্রামের রোহিঙ্গা গোলাম শরীফের ছেলে ডাকাত বাবুল শরীফ (২২) কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে হত্যা মামলার আসামি সোনাইয়া ডাকাত বাবুল শরীফ কে জামিন করানোর জন্য আসলে এসআই আলমগীর হোসেনের জালে ধরা পড়েন। প্রথমে নিজের নাম জাফর আলম হিসাবে চালিয়ে দিয়ে রক্ষা পেতে চাইলেও পুলিশের তৎপরতায় শেষ রক্ষা হলো না।