মো: সোলাইমান (স্টাফ রিপোর্টার) চট্টগ্রাম
হাটহাজারী উপজেলার তিনটি ঐতিহাসিক দিঘীর অপদখল থেকে জমি রক্ষা এবং জলাধার অংশ পুন:খননের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ (১৭/৪/২৫) এর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়। এ তিনটি ঐতিহাসিক দিঘীর জল, পাড়, ও জীব-বৈচিত্র অংশের যথাযথ সুরক্ষার জন্য নিম্নোলিখিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন কমিশন।
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পূর্ব পাশে তিনটি সুবৃৎ ঐতিহাসিক দিঘী রয়েছে। দিঘী তিনটির নাম উত্তর থেকে দক্ষিণে (১) আলাওলের দিঘী (ফতেপুর ইউনিয়ন) (২) মজলিশ বিবির দিঘী (ফতেপুর ইউনিয়ন) ও (৩) নসরত বাদশাহর দিঘী (চিকনদন্ডি ইউনিয়ন)। এই তিনটি দিঘী সুবিশাল ৪টি পাড় জুড়ে কবরস্থান। মাঝখানে জলাশয় ভরাট ও সংকুচিত হতে হতে প্রায় বিলীন হতে চলেছে। পাশে জমি তৈরী করে দখল অপদখল, চাষাবাদ, বাড়ী-ঘর ও ব্যবসা চালানোর চেষ্টা চলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আলাওল দিঘি মূলত দিঘি নামে রয়েছে ভিতরে জায়গা দখলের পায়তারা চলছে।
(ক) দিঘীর মাঝখানের জলাধার অংশটি উদ্ধারপূর্বক পুনর্খনন এবং জলভাগ সুরক্ষায় ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে দায়িত্ব প্রদান।
(খ) জলাধারার খননকৃত মাটি দিয়ে দিঘীর পাড়গুলো বেঁধে দিয়ে কবরস্থানের উন্নয়ন এবং কবরস্থানের কমিটিসমূহ পুনর্গঠন।
(গ) দিঘীর জমির বেদখলী অংশ পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় ব্যবস্থাপনার উপায় উদ্ভাবন।
(ঘ) এলজিইডি এবং দুর্যোগ ব্যবস্তাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় খনন ও পাড়ের কবরস্থানের উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ।
এই উদ্যোগটি সঠিকভাবে নেয়া হলে এই ঐতিহাসিক জলাধার তিন কবরস্থান ও সরকারি খাসজমির সুরক্ষার একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হবে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন দিঘি বিভিন্নভাবে দখল হয়ে আছে, এমন উদ্যোগে আমরা স্বাগত জানাই এবং দিঘি জীববৈচিত্র ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জমান এর কাছে জানতে চাইলে জানান চিঠি পেয়েছি বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরী পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।