ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল আহমেদ।
রংপুরের বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে বোরো ধান। মনের আনন্দে ধান কাটছেন কৃষক। মাঠ থেকে সংগ্রহ করা সোনালী ধান মাড়াই করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা। যেন দম ফেলানোর ফুসরত নেই
ফসলের ক্ষেতে বাম্পার ফলন। তবে বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা কাজ করছেন কৃষকদের মাঝে। ন্যায্য মূল্য পাবেন তো এবার?
এদিকে ধানের বাম্পার ফলন হলেও দামের ক্ষেত্রে লসের আভাস পাচ্ছেন কৃষকরা
কৃষকদের আক্ষেপ, সার বীজ, কিটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি চড়া মূল্যের কারণে ফসলে ভালো লাভ করতে পারবেন না তারা। উৎপাদন খরচ যোগাতেই যেনো সব শেষ, ব্যয় অনুযায়ী আয় না হলে মাঠে মারা পড়বেন তারা। তাই সরকারের কাছে ন্যায্য মূল্যের জন্য সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৪৬ হেক্টর জমিতে, লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী এবার আবাদ হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।
পাশাপাশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিকটন। কৃষি অফিস থেকে উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষক পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার রানীপুকুরের সজিব, সাইদুল, সেফারুল, জুয়েলসহ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফলন ভালো হওয়ার পরও আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
কেনোনা কঠোর পরিশ্রম, উৎপাদন খরচ ও সার্বিক বিষয় চিন্তা করে ব্যায় অনুযায়ী আয়কি হবে। পাশাপাশি সরকার সরাসরি ধান না নিয়ে মাধ্যম দিয়ে নিলে আমরা ন্যায্য মূল্য পাইনা। তাই সরকার সরকারি ভাবে হাটে বাজারে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষক থেকে ধান কিনলে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে।
একই এলাকার কৃষক সামসুল, সাহাদৎ, কামরুল বলেন, কৃষি কাজে সার বীজ, কিটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি চড়া মূল্যের কারণে ফসলে ভালো লাভ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। তাই তারা সরকারের সহযোগীতা কামনা করছেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ পরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, রংপুর জেলায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৪৬ হেক্টর জমিতে বোরোর ধানের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে কাজ করে কৃষকের পরিশ্রম ও আমাদের অফিসারদের পরামর্শে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এবার ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিকটন।
ধারণা করা হচ্ছে প্রতি হেক্টর জমিতে ধান পাওয়া যাবে প্রায় সাড়ে ৬ থেকে ৭ টন।