সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বায়েজিদ বোস্তামী মাজারে মাদকসেবন ও মাদক কারবারের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান এবং দৈনিক চট্টগ্রাম সংবাদ-এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ কামাল উদ্দীন গত ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সরেজমিন সংবাদ সংগ্রহে গেলে চাঞ্চল্যকর এ চিত্র সামনে আসে।
সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে,মাজারের উপরের কবরস্থান এলাকায় একদল মাদকসেবী ও বিক্রেতা সক্রিয়ভাবে মাদক গ্রহণ করছিল। তারা বিষয়টি ভিডিও করতে গেলে মাজারের খাদেম রবিউল এবং তার সহযোগীরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তারা গালিগালাজ প্রাণনাশের হুমকি এবং শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হন।
সূত্র জানায়,খাদেম রবিউল ও তার নিয়ন্ত্রিত চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাজার এলাকা দখল করে বার্ষ্যমান অবৈধ দোকান স্থাপন, দর্শনার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, দানবাক্স ও পশুদান আত্মসাৎসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগ,রাতের বেলায় মাজার এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপও চলে।
সাংবাদিকরা বায়েজিদ বোস্তামী থানায় অভিযোগ জানানোর পর, গত ২৭ মার্চ রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের নিয়ে, ওই সময় পুলিশের সামনে সাংবাদিককে অকাত্ত ভাষায় মানসিকভাবে খারাপ খারাপ মন্তব্য করুন এবং পুলিশরাই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পায় বলে জানা যায় ।
**সাংবাদিকরা পরবর্তীতে ভাসমান দোকানদারের সাথে হিডেন ক্যামেরায় কথা বললেন দোকানদারের নাম না বলার শর্তে তারা খাদেমদের বিরুদ্ধে অসামাজিক ও চাঁদাবাজির নানান অভিযোগ তুলে ধরেন,মাজারের সিকিউরিটি গার্ড শফিক প্রকাশে ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি শফিক ঠিকানা ধনিপাড় কিন্তু মাজারের কবরস্থানের উপরে বাবা ও গাজা বিক্রয় করেন তিনি আবার বাজারে সিকিউরিটি গার্ড,তার ভিডিও ধারণ করতে গেলে বাজারের খাদেম রবিউল তার চক্র সহ সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন রকম মানসিক টরচারিং করে অপরাধ এক দোকানদার নাম না বলা অনিচ্ছুক প্রকাশ করেছেন বলেন আমি তিন মাস ধরে অসুস্থ ছিলাম আমার দোকান তিন মাস ধরে বন্ধ ছিল তারপরও হাদেমরা আমার জোরপূর্বক টাকা আদায় করে নিয়েছে প্রতিদিন ১০০ শুক্রবার জুমার দিন ২০০
একটি অনুসন্ধানী টিম সরজমিনে ঘুরে দেখেন বিভিন্ন মুরিদগণরা মাজার জিয়ারত করার সময় মাজারের নির্দিষ্ট দান বাক্স ছাড়া তাদের থেকে অর্থ খুঁজে নেওয়ার চিত্র দেখা গিয়েছে,দর্শনার্থী ও মাজারের বিভিন্ন বক্তারা গরু ছাগল হাঁস-মুরগি এনে থাকেন,দিনশেষে গরিবদের কাছে বিলিয়ে না দিয়ে খাদেমদের ঘরে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে চলে যায়
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা থানার কোন সহযোগিতা না পাওয়াই এ বিষয়ে সাংবাদিক মোঃ ছৈয়দুল করিম খান বলেন, “আমরা এই বিষয়ে ডিসি, পুলিশ কমিশনার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ অভিযোগ দিয়েছি। আমরা চাই, মাজারের পবিত্রতা রক্ষা হোক এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদে এখানে আসতে পারুক।”
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন ও দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ধর্মকে পুঁজি করে বাইজিদ বোস্তামি সুলতান আরফিন মাজারের ৪১ থেকে ৪২ জন খাদেম রয়েছে প্রত্যেকটা খাদেমরা গড়ে তুলেছে বিলাসবহুল অর্থের পাহাড়
আরো বিস্তারিত আসবে দ্বিতীয়(০২)পর্বে