রোহিঙ্গা ত্রাণ পাচারের চেষ্টা: উখিয়ায় মোবাইল কোর্টে ৪ লাখ টাকা জরিমানা।
উখিয়া প্রতিনিধি
উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী অবৈধভাবে মজুদ ও পাচারের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চার ব্যক্তিকে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৭ মে ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার বালুখালী ও কুতুপালং এলাকার বিভিন্ন স্থানে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হোসেন চৌধুরী।
অভিযানে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (WFP)-এর সরবরাহকৃত চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবানসহ বিভিন্ন পণ্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিজেদের গুদামে মজুদ করে রাখে, যা বিক্রয়যোগ্য নয়। এসব পণ্য সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে পাচারেরও পরিকল্পনা ছিল বলে জানা গেছে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬-এর ৬ ধারা অনুযায়ী চারজনকে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
জরিমানাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন:
মফিদুল আলম (৩৫), গ্রাম: বালুখালী ছড়া, পালংখালী ইউনিয়ন। তার গুদাম থেকে জব্দ করা হয় চিনি ১৬১ বস্তা, চাল ৩৪ বস্তা, ডাল ১৪ বস্তা ও তেল ১৮০ লিটার।
আলী হোসেন, গ্রাম: কুতুপালং দক্ষিণ পাড়া, রাজাপালং ইউনিয়ন। তার গুদাম থেকে পাওয়া যায় চাল ৮৩ বস্তা, চিনি ৫১ বস্তা, ডাল ৪ বস্তা, তেল ৩২৭ লিটার, সাবান ২৮৮ পিস ও পুষ্টি খাদ্য ৬ বস্তা।
ইউনুছ আলী, গ্রাম: বালুখালী, পালংখালী ইউনিয়ন। জব্দকৃত পণ্য: চাল ১৪২ বস্তা, চিনি ৬২ বস্তা ও তেল ৮০০ লিটার।
ইসমাইল হোসেন, গ্রাম: দরগাহবিল, উখিয়া। তার দোকান থেকে পাওয়া যায় চিনি ১৮ বস্তা (৫০ কেজি করে), চাল ৮০ বস্তা, তেল ৫০০ লিটার, লাক্স সাবান ১০০ পিস এবং হলুদ ৪ বস্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এসব ত্রাণসামগ্রী শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দকৃত। অবৈধভাবে এ পণ্য মজুদ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।