প্রতিনিধি মোঃ মোঃমোরশেদ আলম চৌধুরী
পার্বত্য অঞ্চলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে,আর পাহাড় ধসের পেছনে মানব সৃষ্ট কারন হচ্ছে পাহাড়ের মাটি কর্তন করে অবৈধ মাটি বিক্রি।
বান্দরবান জেলা সদরে অবৈধ মাটি বিক্রির সাথে জড়িত আছে সক্রিয় কয়েকটি সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেটের সদস্যদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে, তাদের এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়। রাত নামলেই স্ক্রেবেটর দিয়ে পাহাড়ের মাটি কর্তন করে এই মাটি বিক্রি করছেন সরকারি, বেসরকারি কাজের জায়গা ভরাটের কাজে।
তবে পাহাড় কাটা এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বন্ধ নেই প্রশাসনের অভিযান।এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার(২৯শে মে) বিকেলে বান্দরবান জেলার সদরের, থোয়াইংগ্যা পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কর্তনের দায়ে সদর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
এসময় অবৈধভাবে পাহাড়ের মাটি কর্তন ও বিক্রি,পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা ৬(খ) লংঘনের দায়ে মোঃ নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন,বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা সুলতানা খান হীরামণি।এছাড়া একই ব্যাক্তির অন্যান্য পাহাড় কর্তনের স্থানের জন্য মামলা প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
অভিযানের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক,মোঃ রেজাউল করিম বলেন অবৈধ পাহাড় কর্তনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।এসময় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে নাজিম জেলা সদরের বাকিছড়া,লেপমুড়ি, বালাঘাটা এলাকার পাহাড়ি এলাকা হতে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন করে এসব মাটি দিয়ে ভরাট করছেন বালাঘাটা স্বর্ণ মন্দির সংলগ্ন নির্মাণাধীন ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিডের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি।