আব্দুল আলিম সুজন
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভগিরদহ জলমহাল জোরপুর্বকভাবে অবৈধ দখলে নেয়া ও মাছ চুরির বিরুদ্ধে জলমহালটির বৈধ ইজারাদার জনসেবা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নিবন্ধন নং ৫৩ এর সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান (কামরুল) আজ বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলাহাবাসপুর সমিতির নিজস্ব কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জনসেবা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন,বাংলা ১৪৩২ সালের ১ লা বৈশাখ হতে ১৪৩৪ বাংলা সালের ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য ভেড়ামারা উপজেলার ভগিরদহ জলমহালের বানুতলা মানিকের বাঁধ হতে তাজপুর ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার নদী ৩৭ লক্ষ ৮১ হাজার ২ শত ৫০ মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া কতৃক বৈধভাবে ইজারা প্রাপ্ত হয়ে ৩৫ লক্ষ টাকার মৎস্য চাষে বিনিয়োগ করে মাছ ছাড়ার পরও জলমহালের মাছগুলি বিভিন্ন সময়ে লুটপাট ও জবর দখলে লিপ্ত রয়েছে আসাদুজ্জামান মিঠু,মোঃ বাবু, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ নিশান,মোঃ মাহাবুল,মোঃ হাকিম,মোঃ শিহাবল,মোঃ মাসুম,মোঃ সিরাজ আলী,মোঃ জিয়া,মোঃ আইয়ুব আলী,মোঃ মাহিন, মোঃ আশরাফুজ্জামান,মোঃ শুক্ বিশ্বাস,মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ কাজল,মোঃ বাকি সর্দার,মোঃ মামুন,মোঃ বাকি সর্দার,মোঃ আবু ব্যাপারী ও মোঃ জিন্নাত যাদের বাড়ি নদী সংলগ্ন ভবানীপুর ও রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা।যারা অমার বৈধ জলমহালের মাছ চুরি করে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার নতুন ছেড়ে দেয়া সাছ বলপুর্বক ভাবে মেরে নেয়।এবং প্রতিবাদ করতে গেলে খুন জখমের হুমকি দেয়।
বিষয়টি জনসম্মেখে প্রকাশ ও ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তার বৈধভাবে প্রাপ্ত ইজারাকৃত জলমহালটি অবৈধদের দখলমুক্ত করতে, তার নিরাপত্তা, ক্ষয়ক্ষতি তদন্তপুর্বক অপরাধীদের দ্রুত বিচারের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট সঠিক বিচার প্রার্থনা করেন। এ সময় সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসি উপস্হিত ছিলেন।