নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
ইপিজেডের নব্বই কলোনীর ভোলা কলোনীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ফ্যাক্টরীতে আইসক্রিম তৈরি শিশুসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারন মানুষ অভিযোগ উঠছে কারখানার মালিক মাঈনউদ্দিন ও সানি নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ আকমল আলী রোড নব্বই কলোনীর মোল্লার কলোনীতে দীর্ঘদিন ধরে ছোট্ট একটা বাসাভাড়া নিয়ে মাছের বরফ দিয়ে তৈরি করছেন কুলকি আইসক্রিম। ছোট বড় সবার কাছে লোভনীয় একটি পন্য। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে রোধের তীব্র খরতাপে শিশু, তরুন, যুবক সব মানুষের প্রান জুড়ায় অনন্যো স্বাদের আইসক্রিমে।
বি এসটিআই এর অনুমোদন বিহীন কুলকি আইস ফ্যাক্টরী নামে নিম্নমানের একটি আইসক্রীম ছোট্ট একটা বাসাভাড়া নিয়ে কারখানা গড়ে উঠেছে চট্টগ্রামের নব্বই কলোনীর মোল্লার কলোনিতে।
প্রায় ১১ বছর ধরে গড়ে উঠা অবৈধ এই কারখানায় আইসক্রিম তৈরীতে খাল ও ডোবার নোংরা পানির সঙ্গে ঘনচিনি, মাছের বরফ আর সেকারিন ও বিভিন্ন স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে আইসক্রীম। অবৈধ এই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত আইসক্রিম খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তরুন, যুবক, নারী ও শিশুসহ সাধারন মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নব্বই কলোনীর ভোলা কলোনীতে প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন আইসক্রিম ফ্যাক্টারীর মালিক মাঈনউদ্দিন।
১৩ জুন শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে নব্বই কলোনীর মোল্লার কলোনীতে গিয়ে দেখা যায়, কুলকি আইসক্রিম ফ্যাক্টরী নামে অসাধু কারখানার মালিক মাঈনউদ্দিনের স্ত্রীকে।
বর্তমান দেশের অভিজাত বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে নিন্ম মানের আইসক্রিম তৈরী করে বাজারজাত করছেন নব্বই কলোনীর এই মাইনউদ্দিন তার সহযোগী হিসেবে মাসোহারা নিচ্ছেন নিষিদ্ধ ফেসিবাদি আওয়ামীলীগের দোষার
ও মাদক ব্যবসায়ী সানু ওরফে সানি। অবৈধ এই কারখানায় আইসক্রিম তৈরীতে প্রতিনিয়ত ব্যবহার হচ্ছে মাছের বরফ, খাল ও ডোবার নোংরা পানি।
অপরদিকে, মাছ ও হিমায়িত খাদ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে নোংরা পানি দিয়ে তৈরিকৃত বরফ। পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান বিয়ে, সুন্নতে খাতনা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানি ঠান্ডা রাখার জন্য সরবরাহ করেন বড় বড় বরফের টুকরো। অন্যদিকে, প্লাষ্টিকের পাইপের মধ্যে কেমিক্যাল রঙ মিশিয়ে সাথে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে পাইপ আইসক্রিম। আবার বাঁশের কাঠিতে তৈরী হচ্ছে কাঠি আইসক্রিম। কুলকি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে নোংরা পরিবেশ তৈরিকৃত আইসক্রিম কক্সশিটে সংরক্ষন করার বক্সগুলোর অবস্থা আরও নাজুক, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা মরিচা ধরা। আবার সেটা খোলা অবস্থায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কুলকি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে নোংরা পরিবেশে বরফের সঙ্গে ক্রিম, দুগ্ধ জাতীয় বিভিন্ন উপাদান মিশ্রিত তৈরিকৃত এগুলোকে আইসক্রিম বলা যাবে না। নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এসব আইসক্রিম স্কুল- কলেজের সামনে ও ফুটপাতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। এসব আইসক্রিম তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক ঘনচিনি যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় সোডিয়াম সাইক্লোমেড বলা হয়।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এসব খাদ্য শিশু স্বাস্থের জন্য মারত্বক হুমকি স্বরূপ। এসব আইসক্রিম খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও শিশুদের দেহে টাইফয়েডের সম্ভাবনা থাকে। এসব আইসক্রিম সোডিয়াম সাইক্লোমেড নামক ঘনচিনি ব্যবহৃত হয়, যা খেলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ ও কেন্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধিপায়।
কুলকি আইসক্রিম বিক্রিতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইসক্রিম তৈরীতে পানি, ঘনচিনি, সেকারিন ও বিভিন্ন ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয়। এসব নোংরা খাবার শিশুদের জন্য কতটা ক্ষতিকারক আপনি সেটা জানেন না।এমন প্রশ্নের জবাবে আইসক্রিম বিক্রিতা বলেন, এটা নোংরা খাবার কিন্তু আমরা কি করবো আমরা তো পেটের জন্য বাজারে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, মাঈনউদ্দিনের এই কুলকি আইসক্রিম ফ্যাক্টরী নামে নাই কোন কাগজপত্র, এসব প্রতিষ্ঠানের নেই কোন বি এসটিআই এর অনুমোদন।
এবিষয়ে কুলকি আইসক্রিম ফ্যাক্টারীর মালিক মাইনউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যম কে রাতের সাড়ে ৯টায় দেখা করতে বলেন,ডেকে নিয়ে মোল্লার কলোনির সামনে ১৫ হতে ২০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করেন মাঈনউদ্দিন ও সানি। একপর্যায়ে সানি সংবাদমাধ্যম কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শরীরে আঘাত করার চেষ্টা করেন।
যার একটি ভিডিও ফুটেজে রয়েছে সংবাদমাধ্যমের হাতে।
এবিষয়ে ইপিজেড থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়েছে, জিডি নাম্বার ৬৬৫/
তথ্য সূত্রে জানা গেছে এই সানি একজন জাহাজের ওয়াশম্যান এবং নব্বই কলোনী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক সহ নানা অপকর্মের সাথে জরিত রয়েছেন।এছাড়া সানির একটি বিশাল বড় সিন্ডিকেট রয়েছে, সানির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে অর্থ এলাকায় সানি সরাসরি মদ পান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতেন সানি।এবং নব্বই কলোনী এলাকায় মাদকের স্মাট ছিলেন, গত ৫ আগস্টের পর কিছুটা কম ছিলো,বর্তমানে সানি অর্থ এলাকায় মাদকের স্মাট গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছেন সানি।
প্রথম পর্ব