মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদঃ
বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্থ ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহায়তায় দীর্ঘ ১ বছর পর থানচি উপজেলা সীমান্তে থানচি রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের থান্দুইপারা (বম পাড়া) ১টি পরিবারের ৭ জন সদস্যসহ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।
শুক্রুবার ২০ জুন ২০২৫, দুপুরে রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের থান্দুইপাড়া (বম গ্রাম) প্রবেশ করেন তারা। এ সময় পাড়াবাসীকে সেনাবাহিনীর বাকলাই পাড়া সেনা ক্যাম্পের সেনাসদস্যগন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও আগত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা , চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও তাদের মাঝে শুকনা রসদ( পরিবারকে চাল ১০ কেজি, আটা ৩ কেজি, চিনি ২.৫ কেজি, তেল ২ কেজি, ডাল ২ কেজি, লবণ ১ কেজি চা-পাতা ১ কেজি ও মসলা সামগ্রী) প্রদান করা হয়।
থান্দুইপারা পাড়ার কারবারি জানান, “২০২৩ সালে মাঝামাঝি হতে পাড়ায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যদের অত্যাচার এবং নিপিড়নে ক্রমানয়ে পারা হতে অনেক পরিবার জীবন রক্ষার্থে পলায়ন করে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে পুনরায় ৫ টি পরিবারের মোট ২৩ জন সদস্য, আমরা পারা পুনর্গঠন শুরু করি। এরই মাধ্যমে একটি একটি করে পরিবার পাড়ায় ফিরে আসছে। আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুনরায় পাড়াটিকে আগের মত সুন্দর করতে পারব বলে আশা করি।”
নিজ বসতবাড়িতে ফিরে লাল বিয়াক সাং বম (৪০ বছর) বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ধরে তাঁরা পাড়ায় আসতে পারেন নি। সেনাবাহিনীর কারণে নিজ থান্দুইপারায় পরিবারসহ ফিরতে পেরে খুব আনন্দবোধ করছেন।
অধিনায়ক, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট লেফটেন্যান্ট কর্নেল আতিকুল করিম, পিএসসি জানান, বম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, আর্থিক সহযোগিতা ,চিকিৎসা সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ ইত্যাদি ব্যাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট ছিল, আছে এবং থাকবে এছারাও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে গুরুত্তারোপ করা হয়েছে বলে তিনি ব্যক্ত করেন।