নিজস্ব প্রতিবেদক
নশ্বর পৃথিবীতে এমন কিছু মানবের জন্ম হয় যারা শত সহস্র নির্যাতন, কষ্ট ও বঞ্চিত হওয়া পরেও যখনি সুযোগ পান তখনই নিজেকে বিলিয়ে দেন মানবের মাঝে। তাদের জন্মই যেন কিছু করার আন্দনে। ভোগ বিলাস তাদের কাছে তুচ্ছ। তেমনি এক মানব মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। সমুদ্রের লোনা জলের সাথে বেড়ে উঠা চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ফুলছড়ি পাড়ার আফজাল মিয়ার সেজ সন্তান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন শৈশব থেকে তার উদারতা ও মানব প্রেমে বেশ সমাদৃত ছিলেন।
মানব প্রেমের সাথে রাজনীতি ও ব্যবসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সখ্যতা বেশ গভীর। জাতীয়তাবাদী আদর্শের পরিবারের জন্ম নেওয়া ও বেড়ে উঠা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন তার পরিবারের অপরাপর সদস্যদের মত নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বিএনপি করতে গিয়ে তিনি এবং তার দুই ভাইয়ের কপালে জুটেছে ২৪ টি মামলা। তার একার রয়েছে ১৪ টি রাজনৈতিক মামলা, পাশাপাশি তার মেঝ ভাইয়ের ৪ টি ও ছোট ভাইয়ের ৬ টি পতিত সরকারের মামলা। এত মামলা, কারাবরণে দমাতে পারেনি মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে। তিনি ৫ আগস্ট পতিত সরকারের পতনের পর তার ও পরিবারের উপর জেল নির্যাতন ও পাশবিক অত্যাচারের কথা ভুলে গিয়ে মানবতার ঝুপি নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সাড়ে ১৫ বছরের দখলদার, চাঁদাবাজদের অত্যাচার অতিষ্ঠ লোকজননের পাশে দাঁড়ান। এই ১১ মাসে তার উদারতা, নিষ্ঠা ও পরিচ্ছন্ন মনোভাবের কারণে এখন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সবাই নিরাপদে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি পতিত সরকারের পতনের পর পর নিজেকে বিত্তবৈভব না ভাষিয়ে দিবারাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত এলাকাকে করেছেন চাঁদাবাজ মুক্ত, সুন্দর নিরাপদ সী-বীচ।
শৈশবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় কসমেটিকস ও খেলার দোকান দিয়ে শুরু কর্ম জীবন মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের আজন্ম স্বপ্ন ছিল সুন্দর পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত আনুক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠূক পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। বিগত ১৫ বছর ঠিক ভাবে এই পতেঙ্গা পতিত সরকারের দোসরদের কারণে ব্যবসা করতে না পারলেও পর্যটকদের স্বপ্ন মূল্যে খাবার পরিবেশনের জন্য করেছিলেন রেস্টুরেন্ট। যেটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি শত প্রতিকূলতার মাঝে পর্যটকদের স্বপ্ন মূল্যে খাবারের যোগান দিয়েছেন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা তিনি সৈকত সংলগ্ন আমপাড়া মার্কেটে শুরু করলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বীচ এলাকায় পর্যটকদের সেবা দেওয়ার জন্য চালু করের সুন্দর মনোরম স্ট্রিড ফুডের দোকান। যা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সকলের।
এক ছেলে এক মেয়ের জনক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মানবিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ধর্মীয় কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি তার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত কালু চৌকদার জামে মসজিদের খেদমত করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি পর্যটকদের সুষ্ঠ এবাদতের সু-ব্যবস্থা করতে দীর্ঘদিন অবহেলিত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হযরত খোয়াজ খিজির জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে মসজিদটি করেছেন সমাদৃত।
এছাড়াও মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের পতেঙ্গা থানার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি রাজনীতিতে বেশ পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের মানুষ। ৫ আগস্টের পর সবাই চাঁদাবাজি সহ আর্থিক সুবিধা পেতে অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও তিনি তার সততা ও নিষ্ঠার জোরে ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন। এছাড়াও তিনি পতেঙ্গা আমপারা মার্কেটের সভাপতি ও পতেঙ্গা স্টুডিও মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন তার বহুমুখী গুনে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত এলাকায় মনাবতার রুদ্ধ প্রতিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন সাদা মনের মানুষ হিসেবে ।