ডেস্ক রিপোর্ট
খুলনায় বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে হাফেজ মো: ইমরান উল্লাহ (৪০) নামে এক যুবক প্রায় ৫ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর আদালতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (৯) এর ১ ধারায় ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন। মামলা ও বাদী সূত্রে জানা যায় গত বছর জলাই মাসে মেহেদী হাসান নামে এক যুবকের মাধ্যমে রিক্তার সঙ্গে পরিচয় হয় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ১ নং বয়রা ক্রস রোডের বাসিন্দা হাফেজ মো: ইমারন উল্লাহর। পরিচয়ের পর থেকেই চতুর ইমরান রিক্তার সরলাতার সুযোগ নিয়ে মনে মনে
প্রতারনার টার্গেট নেয়। মূলত স্বামী পরিত্যাক্তা রিক্তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে ভোগ করাই ছিলো তার মেইন টার্গেট। এক পর্যায়ে সে কৌশল অবলম্বন করে রিক্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, রিক্তা প্রথমে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও ইমরানের জোরাজুরি ও নিজেকে এতিম পরিচয় দেওয়ায় শেষ মেষ রিক্তা বিয়েতে রাজী হয়। এরপর কাজী আলমগীর হোসেন তাদের ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ সম্পাদন করেন। শুরু হয় তাদের সাংসারিক জিবন। এক বুকভরা ভালোবাসা আর আবেগ নিয়ে এ বছর ১লা জানুয়ারি থেকে নগরীর সাতরাস্তা মোড়ে কসমস ক্লাবের পাশে রাজুদের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন রিক্তা ও মো: ইমরান দম্পতি। শুরু হয় তাদের নতুন জিবন। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৫ মাসের মাথায় জানতে পারেন হাফেজ লেবাসধারী এই লম্পট বিয়ের নামে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। রিক্তা জানতে পারে বিয়েটা ছিলো সম্পূর্ণ ভূয়া। এই বিয়ের কোন রেজিস্ট্রি হয়নি। যে কাজী তাদেরকে বিয়ে পড়িয়েছেন সে ছিলো ইমরানের ঘনিষ্ঠজন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি শুধু কলেমা পড়িয়েছি, রেষ্ট্রি করিনি। ভুক্তভোগী ওই নারী এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেন। বর্তমানে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত আসছে.....