মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।
গাজীপুর কালীগঞ্জে এক মহিলা ভূমি দস্যু নাম উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষ এবং প্রতিবেশীদের মাঝে জমি সংক্রান্ত দন্দ লাগানো যার কাজ। সুযোগ বুঝে উভয় পক্ষের সাথে গোপনে কাগজ-পত্র নিয়ে এসি ল্যান্ড এর দোহাই দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে লাখ লাখ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে যানা যায় বিভিন্ন সময় তিনি বলেন, সহকারী কমিশনার আমার ঘনিষ্ট, আমার কথামত কাজ করে এসব বলে নামজারি, জমাভাগ, এনিমি/খাস জমি লীজ ও মিসকেস্ করে রায় নিয়ে আসার মৌখিক চুক্তি করে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নাওয়ান এর কলুন এলাকার ইব্রাহীম মাস্টারের স্ত্রী হাসনা বেগম। এ বিষয়ে আবুল কালাম, কাউছারসহ একাধীক কলুন বাসী বলেন, হাসনা সমগ্র গ্রামের মানুষকে নাস্তানা ভুদ করেছে। তার মধ্যস্তায় একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুতার বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে গুম খুনসহ ঘটতে পারে বড় ধরনের র্দূঘটনা। হাসনা বিভিন্ন সময় ভূয়া নামজারি, অন্যের টাকা আত্বঃসাধ করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। বাড়িতে পাওনাদার আসলে ঘড়ের ভেতরে থেকে বাহিরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। অনেক পাওনাদার হন্য হয়ে তাকে খুজছেন। না পেয়ে সড়কে বসে কাঁদতে দেখা গেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সহকারী কমিশনার বরাবর বক্তারপুরের কলুন গ্রামবাসী এক লিখিত অভিযোগ করেন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে দালাল চক্রের মূল হোতা হাসনা বেগম এর সহায়তা ছাড়া একটি ফাইল নড়া দূরের কথা, কোনো কাজই হয় না। স্থানীয়দের দাবী হাসনা বেগমকে ভুমি অফিসে দালালী নিষিদ্ধ করতে হবে, তাকে আশ্রয়-প্রশ্যয় না দেয়া বা সে যেন কোন ভুমি অফিসে ঢুকতে না পারে। হাসনা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন ভূমি অফিসে এক নায়েক ছিল মাসুদুল আলম সে আমার দেবর ছিল। তার সাথে কিছুদিন কাজ করি বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজেই ভুমি অফিসে যাই, দালালী করি না। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভুমি নুর-ই তাসমিন উর্মি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।