স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদ আলম চৌধুরী
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চাকঢালা সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের পুরান মাইজ্জারটেক অংশে দুই দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে ও দুপুরে পৃথক এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আরা রিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তের ওপার থেকে গুলির খোসা বাংলাদেশ অংশে এসে পড়েছে। ডিসি শামীম আরা বলেন, “তবে মিয়ানমারে কি কারনে গুলিবিনিময়ের ঘটনা তা নিশ্চিত জানিনা।” গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, জামছড়ি, সাপমারা ঝিরিসহ আশপাশের কয়েকটি পাড়া। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম গুলোতে। জামছড়ি এলাকার বাসিন্দা আবদু সালাম, ছৈয়দ নূর ও গুরা মিয়া জানান, সকালে ও দুপুরে দুই দফায় তাঁরা ভারী অস্ত্রের গুলির প্রচণ্ড শব্দ শুনেছেন। তাঁদের ভাষায়, ‘তুমুল যুদ্ধ বাঁধে দুই গ্রুপের মধ্যে।’ সীমান্তের এসব বাসিন্দাদের ধারণা, রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরএসওর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আরাকান আর্মি। সংঘর্ষের পেছনে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। এ ঘটনায় হতাহতের নিশ্চিত কোন খবর পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দায়িত্বে থাকা ১১ বিজিবি ও ৩৪ বিজিবি তাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির জওয়ানদের কঠোর অবস্থানে দেখেছেন স্থানীয়রা। তবে ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কপিল উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি